সাদা আলপনার নকশায় দৃষ্টিনন্দন জগদ্ধাত্রী আরাধনা, নকশি শহরের রূপ নিচ্ছে চন্দননগর

বাবুরবাজার, আপনজন, কানাইলাল পল্লি, একত্রিশের পল্লি প্রভৃতি বারোয়ারির মণ্ডপের সামনের রাস্তা সেজে ওঠে প্রতিযোগীদের দেওয়া আলপনায়।

Must read

সুমন করাতি হুগলি: ক্রমশ নকশি শহরের রূপ নিচ্ছে চন্দননগর! জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রাক্কালে পাল্টে যাচ্ছে চন্দননগরের রাস্তা-ঘাট। শুধু পিচ পড়ে মসৃণই হচ্ছে না, শ্বেতশুভ্র আলপনায় সেজে উঠছে রাস্তা। প্রায় বছর ষোলো আগে শহরের অন্যতম বারোয়ারি বাগবাজার তাদের পুজোর ১৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথম আলপনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। পুজোর আগে মূল মণ্ডপের সামনের রাস্তাটি আলপনার শ্বেতশুভ্র নকশায় দৃষ্টিনন্দন হয়ে ফুটে ওঠে। সেই ধারা আজও চলছে। বাগবাজারের দেখাদেখি গত তিন-চার বছর ধরে শহরের অন্তত আট-দশটি বারোয়ারি তাদের মণ্ডপের সামনের রাস্তায় এই প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছে।

আরও পড়ুন-বিচ্ছিন্ন উত্তর সিকিমকে সেতু গড়ে জুড়ে দিল ভারতীয় সেনা

বাবুরবাজার, আপনজন, কানাইলাল পল্লি, একত্রিশের পল্লি প্রভৃতি বারোয়ারির মণ্ডপের সামনের রাস্তা সেজে ওঠে প্রতিযোগীদের দেওয়া আলপনায়। আলপনা প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে শুধু এই শহর বা জেলার নয়, বাইরে থেকেও প্রতিযোগীরা আসেন। রং ও পাত্র সরবরাহ করেন উদ্যোক্তারা। তুলি নিয়ে আসতে হয় প্রতিযোগীকে। রবিবার, কালীপুজোর দিনে প্রতিযোগিতা হয় বাগবাজার এবং শুকসনাতনতলায়। বাগবাজারে এতদিন রাস্তার উপরেই ২×২ ফুট মাপের চৌকো অংশে দু’ঘণ্টায় প্রতিযোগীদের আলপনা আঁকতে হচ্ছিল। এবার পুজোর ১৮৯তম বছরে মোট ৩৫৪ জন প্রতিযোগী বৃত্তাকার খোপে আলপনা আঁকলেন।

আরও পড়ুন-সুইপ ভালই মারতাম : বেকহ্যাম

দক্ষিণ ভারতের প্রধান উৎসব পোঙ্গলের সময় রাস্তা জুড়ে ফুলের আলপনা দেওয়ার রীতি রয়েছে। উত্তরপ্রদেশে এই রীতিকে বলে সেনাহা, বিহারে বলে অরিপন, ওড়িশায় ঝঙ্গতি, মধ্যভারতে মণ্ডন, হিমাচল আর হরিয়ানায় লিখনুয়া, গুজরাতে সাখিয়া, অন্ধ্রে মুঙ্গলি, তামিলনাড়ু এবং কেরলে কোলম, মহারাষ্ট্রে রঙ্গোলি এবং বাংলাতে তাকেই বলে আলপনা।

আরও পড়ুন-একশো দিনের কাজের বকেয়ার, দাবিতে দিনহাটার প্রতি ব্লকে মিছিল

রাস্তা জুড়ে আলপনা দেওয়ার চল এ-রাজ্যে আগে ছিল না। এ-ব্যাপারে বাগবাজারই পথিকৃৎ। এখানকার দেখাদেখি এবার দুর্গাপুজোয় হাওড়া সেতুর আলপনাও নজর কেড়েছে অনেকের। বাংলার ঘরের আলপনার রীতির পাশাপাশি শান্তিনিকেতনে নন্দলাল বসু, গৌরী ভঞ্জ আলপনার এক নতুন দিগন্ত তুলে ধরেন। অজন্তা-ইলোরা বা ভারতীয় মোগল স্থাপত্যের পাথুরে নকশা নিয়ে আসেন তাঁদের আলপনায়।

Latest article