কলড্রপ ও এনএমপি নিয়ে প্রশ্ন করলেন জহর সরকার

Must read

প্রতিবেদন : মোবাইল ফোনে কলড্রপের সমস্যা নিয়ে রাজ্যসভায় প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জহর সরকার। তিনি জানতে চান, কী কারণে কলড্রপ এবং কল ডিসকানেকশনের সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে? এই সমস্যা সমাধানে সরকারের পরিকল্পনা কী? কলড্রপের ক্ষেত্রে মোবাইল সংস্থাগুলি প্রত্যেকটি কলের জন্য আলাদা করে চার্জ কেটে নিচ্ছে বলে মানুষের অভিযোগ। সরকার কী ব্যবস্থা নিচ্ছে? এর উত্তরে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী দেবাংশু সিং চৌহান বলেন, বিভিন্ন কারণে ‘কলড্রপ’ হতেই পারে। শুধু আমাদের দেশে নয়, গোটা বিশ্ব জুড়েই কলড্রপ একটি সাধারণ সমস্যা। তবে কলড্রপের জন্য সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয় এটা ঠিক। সে কারণেই টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডার বা টিএসপিগুলিকে কলড্রপ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি বা ট্রাইয়ের নির্ধারিত নিয়ম মেনে চলতে বলা হয়েছে। টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারগুলির কাজে নজর রাখছে ট্রাই। সাধারণত টিএসপিগুলি প্রতি তিন মাস অন্তর ট্রাইয়ের কাছে তাদের বিস্তারিত রিপোর্ট পেশ করে। সেই রিপোর্ট থেকেই ট্রাই বিষয়টি পর্যালোচনা করে। তবে টিএসপিগুলি কোনও একজন গ্রাহকের বর্তমান প্ল্যান অনুযায়ী প্রতিটি কলের ক্ষেত্রে পয়সা নিয়ে থাকে। বাড়তি কোনও খরচ নেয় না।

আরও পড়ুন : পারদ ১১-র নিচে শীতের কামড় আরও বাড়বে

কেন্দ্রের এনএমপি নিয়ে প্রশ্ন
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সম্প্রতি ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন বা এনএমপি ঘোষণা করেছেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিমানবন্দর, নৌবন্দর, কয়লাখনি, গ্যাস পাইপলাইনের মতো একাধিক ক্ষেত্রকে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার হাতে লিজ ভিত্তিতে তুলে দেওয়া হবে। এই প্রকল্প নিয়েও মোদি সরকারের কাছে একাধিক প্রশ্ন রাখেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ জহর সরকার। জানতে চান, এমএনপি–র মাধ্যমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে কি আরও বেশি করে একচেটিয়া কারবারের আধিপত্য দেখা যাবে? এই একচেটিয়া কারবার প্রতিরোধ করতে সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? চলতি অর্থবর্ষে এনএমপি প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার কত টাকা আয় করবে বলে মনে করছে? এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা ও কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রাও ইন্দ্রজিৎ সিং জানিয়েছেন, এনএমপি প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের পরিকাঠামো শিল্পকে আরও সুসংহত, অত্যাধুনিক ও উন্নত করাই সরকারের লক্ষ্য। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে এই প্রকল্পের মাধ্যমে গোটা দেশে ৫০০০ কিলোমিটার সড়ক, ৪০টি রেলস্টেশন, তিনটি রেলওয়ে স্টেডিয়াম, ৬টি বিমানবন্দর, ২২২৯ কিলোমিটার তেল ও গ্যাস পাইপলাইন এবং ৭৭৫ কিলোমিটার পেট্রোলিয়াম প্রোডাক্টের জন্য পাইপলাইন এবং একটি হাইড্রোজেন উৎপাদনকারী প্ল্যান্ট উৎপাদনের দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থাকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিলামের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রতিটি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবে।

Latest article