কেন বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে এফআইআর নয়! প্রশ্ন বিচারপতির

শুক্রবার নন্দীগ্রামে বিজেপির হাতে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের এসএসকেএমে দেখার পর প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

Must read

প্রতিবেদন : শুক্রবার নন্দীগ্রামে বিজেপির হাতে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের এসএসকেএমে দেখার পর প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের প্রশ্ন ছিল, কেন বিরোধী দলনেতাকে সুরক্ষা কবচ দেওয়া হবে? কেন তাকে গ্রেফতার করা যাবে না? এই সুযোগ নিয়ে মানুষ মারলেও তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে পারছে না পুলিশ। সে নিয়েই জনস্বার্থ মামলায় একই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

আরও পড়ুন-প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা-পরিস্থিতি মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে

বিচারপতি মান্থার সুরক্ষা কবচের নির্দেশের প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন বলেন, আজ যদি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর করতে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করে, তাহলে সেই নির্দেশকে দেখিয়ে ১০ বছর পরে অন্য কোনও অপরাধের অভিযোগ উঠলে তখনও কি পুলিশ এফআইআর করতে পারবে না? এক মামলার রক্ষা কবচ দেখিয়ে ওই ব্যক্তি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করতে পারেন? এরপরই তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিচারপতি বলেন, যদি কোনও নির্দেশ অন্তঃসার শূন্য হয়, তাহলে কি সেই নির্দেশ বাতিল বা ফিরিয়ে নেওয়া যায় না? প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতেই এদিন ডিভিশন বেঞ্চে ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা-পরিস্থিতি মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে

আজ, বৃহস্পতিবার এই মামলার ফের শুনানি। জনস্বার্থ মামলায় অভিযোগ, বিরোধী দলনেতা হিংসায় প্ররোচনা দিয়েছে। উসকানিমূলক বক্তব্য রেখেছে, ৩৫৫ ধারা লাগুর পরিস্থিতি তৈরি করছে বলে জানিয়েছে, এমনকী ব্যালট বক্স জলে ফেলার নির্দেশও দিয়েছে। তার কনভয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তার অনুষ্ঠানে চারজন নিরীহ মানুষ পদপিষ্ট হয়ে মারা যান। রাজ্যের মন্ত্রী বিধায়ককে ‘জুতার তলায় রাখি’ বলে অপমানও করেছে। কিন্তু বিচারপতি মান্থার রক্ষা কবচের দৌলতে তার টিকিটি ছোঁয়া যায়নি। রাজ্য চায় আদালত এফআইআর করার অনুমতি দিক।

Latest article