একুশে আবেগ, কর্মীদের মাঝে অভিষেক

বুধবার রাত ৯টার পর সল্টলেকের সেন্ট্রালপার্কে যান অভিষেক। সেখানেও জেলা থেকে আসা প্রায় ৩০ হাজার লোকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে

Must read

প্রতিবেদন : বুধবার বিকেলে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে পৌঁছলেন জেলা থেকে আসা দলের কর্মী-সমর্থকরা উচ্ছ্বাসে-আবেগে ভেসে যাচ্ছেন। হাতের কাছে অভিষেককে পেয়ে তাঁরা যেন ছাড়তেই চান না। অভিষেকও নিমেষে মিশে গেলেন কর্মীদের মাঝে। জানতে চাইলেন তাঁদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না। কর্মীরা সমস্বরে জানালেন, দল যা ব্যবস্থা করেছে তাতে কোনও সমস্যা নেই। আমরা ২১ তারিখ সকাল সকাল ধর্মতলা পৌঁছে যাব।

আরও পড়ুন-জ্বলছে মণিপুর: তবু ৭৮ দিন ধরে মোদির মুখে কুলুপ, আক্রমণ তৃণমূলের

এরপর অভিষেক খোঁজ নিলেন সকলের খাওয়া-দাওয়া ঠিকমতো হচ্ছে কি না। এরপর উপস্থিত জনপ্রতিনিধি সুশান্ত ঘোষ, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন ও দক্ষিণ কলকাতা যুব তৃণমূলের সভাপতি সার্থক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাইলেন কী রান্না হয়েছে, প্রয়োজনীয় ওষুধ হাতের কাছে আছে কি না তারও। একই অবস্থা উত্তীর্ণতেও। সেখানে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া থেকে প্রচুর কর্মী-সমর্থকরা এসে পড়েছেন। বাঘমুণ্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাত দলের কর্মীদের কয়েকজনের সঙ্গে অভিষেকের পরিচয় করিয়ে দিলেন। দু’একজন দুদ্দাড় করে প্রণাম করতে এলে কোনওমতে ঠেকালেন তিনি। এখানেও একইরকমভাবে সবকিছুর খোঁজ নিয়ে বললেন কোনও অসুবিধে হলে তাঁকে জানাতে।

আরও পড়ুন-কর্নাটকে বিজেপি জমানার বিরাট দুর্নীতি ফাঁস পিএসির

বুধবার রাত ৯টার পর সল্টলেকের সেন্ট্রালপার্কে যান অভিষেক। সেখানেও জেলা থেকে আসা প্রায় ৩০ হাজার লোকের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। কর্মী-সমর্থকরাও ইতিমধ্যে বহু জেলা থেকে এসে পড়েছেন। বিধায়ক সুজিত বোস, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী-সহ অন্যান্যদের সঙ্গে নিয়ে ক্যাম্প ঘুরে দেখেন। কথা বলেন কর্মীদের সঙ্গে। হাতে মাত্র একটা দিন। তারপরেই একুশের শহিদ সমাবেশ। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার যা শ্রদ্ধাদিবস হিসেবে পালিত হবে। বাংলার প্রতিটি ব্লক থেকে দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা এসে উপস্থিত হবেন এই আবেগের সমাবেশে। সারা বছর এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকে।

আরও পড়ুন-প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা-পরিস্থিতি মহারাষ্ট্র ও গুজরাতে

ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে কর্মী-সমর্থকরা শহরে আসতে শুরু করেছেন। উত্তরের কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, শিলিগুড়ি থেকে কর্মী-সমর্থকদের একাংশ আজ শহরে এসে পড়েছেন। এছাড়াও দক্ষিণের অন্যান্য জেলা থেকেও আসছেন কর্মী-সমর্থকরা। কলকাতার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সমাবেশ মঞ্চ প্রায় সম্পূর্ণ। মঞ্চ ঘিরে চলছে প্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম। দিন-রাত এক করে কাজ করছেন দলের লোকজন। এদিন বিকেলে একুশে মঞ্চের নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল ও তাঁর টিম। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে সকালে একপ্রস্থ ইনডোরে বৈঠকের পরে বিকেলেও মঞ্চে আসেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিয়ে বেশকিছু নির্দেশও দেন। কথা বলেন পুলিশের টিমের সঙ্গে।

Latest article