সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : সমাজে শিক্ষার অভাব। পিছিয়ে-পড়া সেই সাঁওতাল সমাজকে শিক্ষায় এগিয়ে নিয়ে যেতে শিক্ষিকা হতে চান উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সাঁওতালি মাধ্যমে অষ্টম স্থানাধিকারী কৃষ্ণা সোরেন। সাঁতুড়ি থানার তিলাবাইদ গ্রামের এই মেয়েটি এবার উচ্চমাধ্যমিকে ৪৬৬ নম্বর পেয়েছেন। বাঁকুড়া জেলার নাংলা পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চমাধ্যমিক দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-হিংসার আগুনে জ্বলছে মণিপুর, শহিদ ১ জওয়ান
ইতিমধ্যে বাঁকুড়া জেলা প্রশাসন তাঁকে সংবর্ধনা দিয়েছে। মঙ্গলবার তিলাবাইদ গ্রামের বাড়িতে কৃষ্ণা জানান, শিক্ষাক্ষেত্রে আদিবাসী ছেলেমেয়েদের জন্য প্রচুর সুযোগ আছে। কিন্তু অনেকে তা জানে না। রাজ্য সরকার প্রত্যন্ত সাঁওতালি এলাকায় সাঁওতালি ভাষার মাধ্যমে পঠনপাঠন শুরু করেছে, তাতেও উপকৃত হচ্ছেন অনেকে। এবার উচ্চমাধ্যমিকে কৃষ্ণা সাঁওতালি ভাষায় পেয়েছেন ৯৬ নম্বর। এছাড়া ইংরেজিতে ৯২, কৃষিবিজ্ঞানে ৯৮, শারীরশিক্ষায় ৯৫ এবং এডুকেশনে ৮৫ নম্বর পেয়েছেন।
আরও পড়ুন-যাত্রী সুরক্ষার গাফিলতি ঢাকতেই কি অন্তর্ঘাত তত্ত্ব? ডিআরএম-এর বক্তব্যে বাড়ল বিতর্ক, নিখোঁজ বহু
মেয়েটির বাবা লক্ষ্মীরাম সোরেন বলেন, সামান্য দিনমজুরি করে সংসার চলে। দাদার আগ্রহে মেয়েকে আবাসিক স্কুলে ভর্তি করেছিলাম। মেয়েটির জেঠামশাই বাবুলাল সোরেন বলেন, ছোটবেলা থেকেই ও মেধাবী। সাঁওতাল সমাজে, বিশেষ করে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তারে ও যদি কাজ করে পরিবার তার সঙ্গে থাকবে।