মানস ভট্টাচার্য: আফগানিস্তানের কাছেও আমাদের হারতে হচ্ছে! এর থেকে লজ্জার আর কিছু নেই। ভারতীয় ফুটবল রসাতলে যাচ্ছে ভুল সিস্টেমের জন্য। এর জন্য দায়ী সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। দায় এড়াতে পারবে না প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবেও। এটা কি জাতীয় দলের খেলা? কয়েকজনকে টাকা পাইয়ে দেওয়ার জন্য ফুটবল হচ্ছে তো মনে হচ্ছে! আফগানিস্তানকেও যদি হারাতে না পারি, তাহলে এত টাকা দিয়ে বিদেশি কোচ রেখে লাভ কী? ইগর স্টিমাচ আর কতদিন?
আরও পড়ুন-বিজয়ন-কন্যার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ, তদন্তে ইডি
লোকটা বাঁধাধরা কয়েকজন খেলোয়াড়কে নিয়েই শুধু দল গড়েন। স্ট্র্যাটেজিতেও কোনও অভিনবত্ব নেই। কর্তাদের সঙ্গে বোঝাপড়া রেখে চলেন।
আইএসএল দেশের সেরা লিগ! অথচ গত মরশুমে লিগের সেরা গোলকিপার বিশাল কাইথকে দিনের পর দিন বসিয়ে রেখে খেলানো হচ্ছে সেই গুরপ্রীত সিং সান্ধুকে। আফগানিস্তান ম্যাচে যে ভুলটা করল একজন অভিজ্ঞ গোলকিপারের কাছে এটা আশা করা যায় না। এমন ভুল গুরপ্রীত প্রায়ই করে। তবুও ও খেলে যায়। অথচ বিশালকে খেলানো হবে না। তার উপর কোচের সেই গতে বাঁধা পরিবর্তন, ভুল কোচিং দর্শন। পাঁচজন ফুটবলার বদলানোর সুযোগ আছে বলে বদলে দাও। কোনও চমক নেই স্ট্র্যাটেজিতে। আধুনিক ফুটবলে মাত্র এক গোলের লিড যখন-তখন হাতছাড়া হতে পারে। তা সত্ত্বেও স্টিমাচ একসঙ্গে সুনীল ছেত্রী, লিস্টন কোলাসো ও ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজকে তুলে নিলেন।
আরও পড়ুন-বাংলায় নয়া ৮ মেডিক্যাল কলেজ
আমাদের দুর্ভাগ্য, এখনও সুনীলের ছত্রছায়ায় থাকতে হচ্ছে। ওর উত্তরসূরি তুলে আনার কোনও চেষ্টা নেই। এত বছর আইএসএল হচ্ছে। কিন্তু সেখানে বিদেশি স্ট্রাইকারদের রমরমা। তাহলে সুনীলের বিকল্প পাওয়া যাবে কীভাবে? স্টিমাচ মুখে হা-হুতাশ করছেন, স্ট্রাইকার নেই। কিন্তু কোচ কি আই লিগের স্ট্রাইকারদের দিকে নজর রেখেছেন? তাদের কেন সুযোগ দেওয়া হয় না? ফেডারেশন কেন হেড কোচকে স্পটার করে আই লিগের বিভিন্ন ম্যাচ দেখতে পাঠাবে না?