মধ্যপ্রদেশ পঞ্চায়েতে জয়ী মহিলাদের বদলে শপথ পুরুষদের!

এর আগেও মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে একই চিত্র দেখা গিয়েছিল। কোনও মহিলা জয়ী হওয়ার পর হয়তো প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন।

Must read

প্রতিবেদন : এমনও সম্ভব? নারীবিদ্বেষ কোন জায়গায় পৌঁছলে এমন হতে পারে তা দেখিয়ে দিচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশ। বিজেপি প্রশাসনের অগণতান্ত্রিক মনোভাব স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে এই ঘটনায়। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়। সেই নির্বাচনে বহু মহিলা সদস্যও জয়ী হয়েছেন। ৫ অগাস্ট ছিল জয়ীদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। কিন্তু দেখা গিয়েছে এই রাজ্যের ধার, সাগর, দামোহা, পান্না, রেওয়া-সহ একাধিক জেলায় জয়ী মহিলাদের পরিবর্তে তাঁদের স্বামী, ছেলে বা শ্বশুরমশাই শপথ নিয়েছেন। অর্থাৎ আসল পদাধিকারীর বদলে প্রক্সি দিয়েছেন তাঁদের বাড়ির পুরুষ সদস্যরা।

আরও পড়ুন-বিদ্যুৎবিলের প্রতিবাদে এবার আন্দোলন শুরু

এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার ঝড় উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ট্যুইট করেছে। বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস বলেছে, এই হল বিজেপির নারীদের ক্ষমতায়নের নমুনা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী মহিলারা বাড়িতে বসে আছেন। কিন্তু তাঁদের স্বামী, ভাই বা বাড়ির অন্য কোনও পুরুষ সদস্য শপথ নিচ্ছেন। এটাই বিজেপির নেতৃত্বে নারী ক্ষমতায়নের চিত্র। গেরুয়া দল মুখে নারীশক্তির জাগরণের কথা বললেও নিজেরাই তা বিশ্বাস করে না। আসলে তারা মহিলাদের বাড়ির চৌহদ্দিতেই আটকে রাখতে চায়। নারীদের সামনে রেখে হাতের পুতুল বানিয়ে পুরুষরাই যে রাজত্ব করে, শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার তার সুস্পষ্ট প্রমাণ রেখেছে।

আরও পড়ুন-পেন্টাগনের দাবি যুদ্ধে প্রায় ৮০ হাজার রুশসেনা হতাহত হয়েছে

এর আগেও মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন পঞ্চায়েতে একই চিত্র দেখা গিয়েছিল। কোনও মহিলা জয়ী হওয়ার পর হয়তো প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন তাঁর স্বামী। এ বিষয়ে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যসচিব (পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর) উমাকান্ত উমরাও বলেছেন, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। কোনওভাবেই এটা মেনে নেওয়া যায় না। স্থানীয় প্রশাসনকে দায়িত্ব নিতে হবে যে, সঠিক ব্যক্তি যেন শপথ নেন। ভবিষ্যতে আর কখনও যাতে মহিলাদের পরিবর্তে তাঁদের বাড়ির কোনও পুরুষ সদস্য শপথ নিতে না পারেন সে ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

Latest article