জলপাইগুড়ি-আলিপুরদুয়ারের দুর্গতদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, প্রশাসনের কাজের প্রশংসা

Must read

ঘূর্ণিঝড়ে ভয়ঙ্কর ক্ষতিগ্রস্ত জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, আলিপুরদুয়ার-সহ উত্তরবঙ্গে বিস্তৃর্ণ অঞ্চল। রবিবার, দুর্যোগের রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রাতে চালসায় থেকে সকালেই আলিপুরদুয়ারে বিপর্যস্তদের দেখতে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী। বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসনের কাজে ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনের তরফে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন।

সোমবার দুপুরে কপ্টারে আলিপুরদুয়ারে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারের ঝড়ে ব্যারক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলিপুরদুয়ারের বেশ কিছু এলাকা। এলাকা পরিদর্শন করে স্থানীয় মানুষদের করেন মুখ্যমন্ত্রী। তপসিধাটা ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া দুর্গতদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। পরে সাংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ”বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রশাসন ভালো কাজ করছে। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ, খাবারের ব্যবস্থা করেছে। যদিও এখন ভোটের সময়, আদর্শ আচরণবিধি (Model Code of Conduct) জারি রয়েছে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় বিপদের সময় কি আর আচরণবিধি মেনে চলা যায়?

আরও পড়ুন-কেন্দ্র আবাসের টাকা দিলে মাথায় আঘাত আসত না: মোদি সরকারকে তীব্র আক্রমণ অভিষেকের

মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) জানান, ”তপসিঘাটা গ্রামে রিলিফ ক্যাম্পে যাঁরা আছেন, তাঁদের পরিবারগুলির সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁদের বক্তব্য শুনেছি। চোখের সামনে যে ঘরগুলি দেখলাম, সেগলি পুরোটাই টিনে চাপা গড়ে গিয়েছে, গাছে চাপা পড়ে গিয়েছে। একটা জিনিসও লোকে ঘর থেকে বের করতে পারেনি। এই তপসিঘাটা স্কুলে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ”এখন এমসিসি আছে, কিন্তু বিপর্যয় জরুরি বিষয়। বিপর্ষয় ব্যতিক্রমী বিষয়। আমাদের সরকার আছে, প্রশাসন আছে। আমি প্রশাসনকে বলব, সার্ভে করে দেখুক এবং নিজের মতো করুক। কার কতটা ঘর ভেঙেছে, কতটা আংশিক ভেঙেছে, কতটা পুরো ভেঙেছে। যাঁদের বাড়িতে কিচ্ছু নেই, প্রশাসন তার সাহায্যের হাত কাল থেকেই বাড়িয়েছে। মানুষ বিপদে পড়লে এটা আমাদের সবার দরকার, মানুষের হয়ে কাজ করার জন্য।”

আলিপুরদুয়ারেও প্রশাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন মুখ্যমন্ত্রী। স্কুল কমিটিকেও ধন্যবাদ জানান। বলেন, ”আলিপুরদুয়ারে আহত কম হয়েছে, মানুষ প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, কিন্তু তাঁরা সব হারিয়েছেন। আমি বলব চিন্তা করবেন না, প্রশাসন আছে। প্রশাসন সার্ভে করে, যার যতটুকু প্রয়োজন, সেই ব্যবস্থা যেন করে।” কোচবিহারের মানুষকেও সমবেদনা জানান মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহারের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সেখানকার প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দেন মমতা।

Latest article