প্রতিবেদন : বাজেটের (Union Budget- Mamata Banerjee) দিনই সরকার পড়ে যাচ্ছিল। রাতের বেলা ৬-৮ জনকে অনুরোধ করা হয় শেয়ার কিনতে। না হলে একটি সংস্থার জন্য শেয়ার বাজারের ধস আটকানো যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের গোদাবালির মাঠের প্রশাসনিক জনসভা থেকে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, কাউকে বলা হয়েছে ২০ হাজার কোটি দিতে, কাউকে বলা হয়েছে ৩০ হাজার কোটি দিতে— আবার কাউকে বলা হয়েছে ১০ হাজার কোটি দিতে। কাদের বলা হয়েছে তাদের নামও জানি। কিন্তু দুর্বিষহ অবস্থা করব না বলে নাম বলছি না। এদিনই তৃণমূল কংগ্রেস ইন্টারপোলকে অ্যালার্ট করে লুক আউট নোটিশ জারি করে গৌতম আদানিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। রাজ্যসভার মুখ্যসচেতক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, অতীতে দেখা গেছে বিজেপি-ঘনিষ্ঠ অনেক ব্যবসায়ী দেশের লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। এবার যেন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়।
আরও পড়ুন-বিবাহবিচ্ছেদ চাইলে যেতে হবে পারিবারিক আদালতে : হাইকোর্ট
এদিন সরকার পড়ে যাওয়ার কথা বলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Union Budget- Mamata Banerjee) হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেন। কীভাবে একটি সংস্থাকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী মাঠে নেমেছেন। কারও নাম না নিলেও মুখ্যমন্ত্রী যা বলতে চেয়েছেন তার সবটাই বোঝা গিয়েছে। এই যখন অবস্থা তখন বাংলার বঞ্চনা নিয়ে এদিন আবারও গর্জে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি। এবার বাজেটে ৬০ হাজার কোটি টাকা কেটে দিয়েছে, যাতে আর ১০০ দিনের কাজ করাই না যায়! এরপরই গর্জে উঠে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ক্ষমতা দেখাচ্ছ? নির্বাচনের আগে বড় বড় কথা। আমাদের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছ না খালি কেন্দ্রীয় দল পাঠাচ্ছ। এরপর কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১০০ দিনের কাজের টাকা না দিলে বাংলা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। কেন্দ্রীয় দল নিয়েও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বিজেপি আমায় দুবেলা গালাগাল দেয়। এদের তো দাঙ্গা-অত্যাচার ছাড়া অন্য কোনও কাজ নেই। কিন্তু আমার মুখ বন্ধ করা যাবে না। আমি বলবই।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, আদানি গ্রুপের ৮ লক্ষ ৮২ হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। ব্যাঙ্কগুলির আরও ৮০ হাজার কোটি টাকা গিয়েছে। সেবির আইন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এই কারচুপি ঘটল তা দেখতে হবে। সব মিলিয়ে কলকাতা থেকে রাজধানী দিনভর সরগরম রইল আদানি ইস্যুতে।