কার্শিয়াংয়ে জনসংযোগে ‘দিদি’, মুগ্ধ পুলিশের গানে

Must read

প্রতিবেদন : বুধের পরে বৃহস্পতিবার। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর নিজস্ব ঘরানায় পাহাড়ে ফের জনসংযোগে। হাঁটলেন, চা খেলেন, গল্প করলেন, পথের দু’পাশে বাসিন্দারা কেমন আছেন জিজ্ঞাসা করলেন। ছোটদের উপহার দিলেন। নাম জিজ্ঞাসা করলেন… বললেন গুড গুড নেম। তবে বৃহস্পতিবারের সকালে অবশ্যই পাহাড়ে সুর ছড়াল ইন্দ্রনীল সেনের গান। পাহাড়ে কোন পরিবেশে কোন গানটা গাইতে হবে, সেটা রাজ্যের তথ্য-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর মুখস্থ। অবশ্য, স্মৃতি বিভ্রম করলে মোবাইল তখন ‘পরম বন্ধু’। তবে এদিন চমকে দিয়েছেন এক পুলিশ কর্মী। ‘জিনা ইসিকা নাম’ গেয়ে মুগ্ধ করেছেন সকলকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তখন শ্রোতা, যেন পাহাড়বাসীদেরই একজন।

আরও পড়ুন-গোয়ায় নতুন সকাল,নেত্রীকে ঘিরে প্রবল উচ্ছ্বাস, থরহরি কম্প বিজেপি

রবিবার ৫ দিনের সফরে উত্তরবঙ্গে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। শিলিগুড়ি পৌঁছেই পরপর প্রশাসনিক সভা করেছেন। একদিকে শিল্পায়ন, অন্যদিকে পাহাড়ে নির্বাচনের সুসংবাদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য স্টিয়ারিং কমিটিও করেছেন। বুধবার, সকালে কার্শিয়াংয়ের রাস্তায় বেরিয়ে পাহাড়ি পথে হাঁটেন মমতা। রাস্তার ধারে দাঁড়ানো শিশুদের কাছে ডেকে নেন। রাস্তার ধারে চায়ের দোকানে বসে গরম চায়ের স্বাদ নেন। শোনেন মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনের গান। বৃহস্পতিবার সকালেও ফের পাহাড়ি পথে মুখ্যমন্ত্রী। রাস্তার ধারে শিশুদের সঙ্গে কথা বলেন। হাতে তুলে দেন চকোলেট। দিদি-দিদি ডাকও শোনা গেল।

আরও পড়ুন-বিতর্ক এড়াতে পদ ছেড়ে দিলেন সৌরভ

বৃহস্পতিবার সকাল সকাল এভাবেই একসময় রাস্তার ধারে বসে পড়েন। মেতে ওঠেন স্কুল পড়ুয়াদের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায়। নাম জিজ্ঞাসা করেন। খোঁজ নিতে শুরু করেন পড়াশোনার। স্কুল কত দূরে, কীভাবে যায়, খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চান। আসলে কোভিড-পরবর্তী সময়ে পাহাড়ি মানুষের জীবনযাত্রার পরিবর্তন কতটুকু হয়েছে বুঝতে চাইছিলেন। সঙ্গে ছিলেন জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকরাও।
কার্শিয়াং ছাড়ার আগে জানিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী, আবার আসব, পরের মাসে আসব… পাহাড় যেন হাসছে।

Latest article