নবনীতা মণ্ডল, নয়াদিল্লি : চাহিদার থেকে কয়লার জোগানে ঘাটতি হওয়ার কারণে আগামী মাসগুলিতে আরও বিদ্যুৎ সঙ্কটের সম্মুখীন হতে চলেছে দেশ । সম্প্রতি বিদ্যুৎমন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে এমনই উল্লেখ করা হয়েছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে কয়লার (Coal Crisis) চাহিদার থেকে দেশীয় সরবরাহ ৪২.৫ শতাংশ ঘাটতি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ঘাটতি আগের পূর্বাভাসের থেকে ১৫ শতাংশ বেশি। শুক্রবার সরকারি আধিকারিক, কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির ভার্চুয়াল বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কয়লা এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী। সেই বৈঠকেই আগাম উদ্বেগজনক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিজের প্রাণ দিয়েও দুই শিশুকে বাঁচানোর চেষ্টা
গত এপ্রিল মাস থেকে দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে কয়লার মজুত মাত্র ১৩ শতাংশ। গত ৯ বছরে কয়লার (Coal Crisis) মজুত এত নিচে নামেনি। এর আগে বার্ষিক কয়লার ঘাটতি ১৭.৭ মিলিয়ন টন হবে বলে মনে করা হয়েছিল। যদিও দেখা যাচ্ছে, বাস্তবে সেই ঘাটতি তিনগুণ বেড়ে হয়েছে ৪৯.৩ মিলিয়ন টন। কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, ২০২৩ এর মার্চে আর্থিক বছরের শেষে দেশে কয়লার চাহিদা পৌঁছবে ৭৮৪.৬ মিলিয়ন টন। আগের থেকে এই চাহিদা ৩.৩ শতাংশ বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবারের ভার্চুয়াল বৈঠকে বেশিরভাগ রাজ্যই কোল ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কয়লা আমদানি করে রাজ্যগুলিকে তা সরবরাহের দাবি জানায় কেন্দ্রের কাছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কয়লার মূল্যবৃদ্ধি এবং আমদানির সমস্যার কথা তুলে ধরা হয় রাজ্যগুলির তরফে। সূত্রের খবর, কয়লামন্ত্রী রাজ্যগুলির চাহিদার কথা বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
সম্প্রতি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিকে কয়লা আমদানির ওপর জোর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমদানি করে সেই কয়লা জ্বালানিতে মেশানোর সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশ না মানা হলে, দেশীয় কয়লার বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎমন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত কয়লা আমদানির প্রক্রিয়া শুরু হয়নি রাজ্যগুলিতে। যদি কয়লা দ্রুত আমদানি না করা হয়, তাহলে জুলাইয়ে দেশীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে বিদ্যুৎ সঙ্কট তৈরি হবে।