নিজের প্রাণ দিয়েও দুই শিশুকে বাঁচানোর চেষ্টা

Must read

প্রতিবেদন : করোনার কারণে গত দু’বছর স্কুল বন্ধ ছিল। চলতি বছরের শুরু থেকেই খুলেছিল স্কুল। ক্লাস চালু হতেই শিক্ষিকা ইভা মিরেলেস (Eva Mireles) পড়ুয়াদের বলেছিলেন, আমাদের সামনে একটি চমৎকার বছর অপেক্ষা করছে। কিন্তু তখনও শিক্ষিকা এবং পড়ুয়ারা কেউই জানতেন না ৯ মে কী ভয়ঙ্কর দিন আসতে চলেছে। এরই মধ্যে গরমের ছুটি এসে গিয়েছে। তাই শিক্ষিকা ইভা এবং তাঁর সহকর্মী তথা শিক্ষক স্বামী ইরমা গার্সিয়া ব্যাগপত্র গুছোতে শুরু করেছিলেন। পরিকল্পনা ছিল দু’বছর পর ছুটি কাটাতে কোনও ঠান্ডার দেশে যাবেন। কিন্তু পরিকল্পনাই সার। গত মঙ্গলবার বন্দুকবাজের গুলিতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ইভা (Eva Mireles)। মৃত শিক্ষিকার ভাইঝি জন মার্টিনেজ নিউইয়র্ক টাইমসকে জানিয়েছেন, ঘটনার বেশ কিছুক্ষণ পর যখন তাঁর পিসিকে উদ্ধার করা হয়, দেখা যায়, তিনি দুই খুদে পড়ুয়াকে বুকে জড়িয়ে রয়েছেন। অর্থাৎ তিনি মৃত্যুর আগেও চেষ্টা করেছিলেন দুই পড়ুয়াকে বাঁচাতে। কিন্তু তাঁর সেই চেষ্টা সফল হয়নি। তবে প্রকৃত অর্থেই আমার পিসি একজন হিরো। আমার পিসি বরাবরই ছাত্রছাত্রীদের খুবই ভালবাসতেন। তাই ছাত্রছাত্রীদের বাঁচাতেই তিনি নিজের প্রাণ দিয়েছেন। অভিভাবকরাও অনেকেই ইভার কথা বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, ওই শিক্ষিকা শুধু পড়াতেন তা নয়, তিনি বাচ্চাদের সব বিষয়ে খেয়াল রাখতেন। তাঁর মৃত্যুতে যথেষ্ট ক্ষতি হল। ইভার মৃত্যুর খবরে তাঁর স্বামী এতটাই মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন যে, দু’দিনের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গার্সিয়া মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। উভালডের বাসিন্দা এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নাতালি এরিস বলেছেন, ইভা এবং তাঁর স্বামী গার্সিয়া ছিলেন অত্যন্ত জনপ্রিয়। তাই পড়ুয়া বা অভিভাবকদের কারও পক্ষেই তাঁদের ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়।

আরও পড়ুন: হিমালয়ের কোলে এক টুকরো মায়াবী পৃথিবী চটকপুর

Latest article