নয়াদিল্লি : নরেন্দ্র মোদির জমানায় ভারতে বিপন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। ধর্মীয় আগ্রাসন বিপজ্জনক চেহারা নিয়েছে। নানা অজুহাতে সংখ্যালঘুদের উপর বাড়ছে আক্রমণ। ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে এমনই নেতিবাচক চিত্র উঠে এল আমেরিকার রিপোর্টে। মঙ্গলবারই বিদেশসচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ২০২২ সালের ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর নেমে আসছে কালো ছায়া। ঘৃণা ভাষণের মাধ্যমে মুসলিম সম্প্রদায়কে লাগাতার প্রকাশ্যে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আর আমেরিকার এমন রিপোর্ট প্রকাশের পরই প্রশ্নের মুখে পড়েছে মোদি সরকার।
আরও পড়ুন-মণিপুর হাইকোর্টের নির্দেশের কড়া সমালোচনা সুপ্রিম কোর্টে
উল্লেখ্য, মাসখানেকের মধ্যেই আমেরিকা সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আর সেই সফরের আগেই এবার ভারতে সংখ্যালঘুদের উপরে আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন তুলল আমেরিকা। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর হিংসার ঘটনা সহ ধর্মস্থানে আক্রমণের অভিযোগের একাধিক কথাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি রিপোর্টে উঠে এসেছে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিশানা করছে যারা, কোনও কোনও ক্ষেত্রে তাদের প্রতি নরম মনোভাব দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রের তরফে। মাসখানেক পরেই আমেরিকা সফরে যাওয়ার কথা মোদির। কিন্তু তার আগে ‘ধর্মীয় স্বাধীনতা’ নিয়ে আমেরিকার রিপোর্ট যে কেন্দ্রের অস্বস্তি বাড়িয়েছে সেকথা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন-রেকর্ড, ৮ হাজারী মাকালু শৃঙ্গ জয় করলেন পিয়ালি
জানা গিয়েছে, বিশ্বের প্রায় দুশোটি দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে রিপোর্টে। ভারত সম্পর্কে বলা হয়েছে, গত বছর দেশের বিভিন্ন রাজ্যে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। গুজরাত পুলিশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের চার ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে মারধর করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে এবং গোষ্ঠী সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রদেশ সরকারের পুলিশ মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের বাড়ি ও দোকান ভাঙচুর করেছে বলে উঠেছে অভিযোগ।