কমল মজুমদার জঙ্গিপুর: মুখ্যমন্ত্রী বাববার বলেছেন, জনপ্রতিনিধিদের মানুষের কাছে যেতে হবে। তাঁদের সমস্যা শুনে, তার সমাধানের ব্যবস্থা করতে হবে। নেত্রীর কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে শুধু পার্টি অফিসে বা নিজের বাড়িতে নয়, পাড়ার চায়ের দোকানে বসে এলাকার মানুষের অভিযোগ শুনছেন সুতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস। সকালে প্রাতর্ভ্রমণ সেরে নিজের বিধানসভা হারুয়া অঞ্চলের কুসুমগাছি কালীতলায় একটি চায়ের দোকানে বসে স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলছেন ইমানি। নানান অভাব-অভিযোগ নিয়ে এলাকার মানুষজন দেখা করেছেন তাঁর সঙ্গে।
আরও পড়ুন-রানাঘাট জেলা ঘোষণা হতেই মিষ্টিমুখে বিজয়োল্লাস
চায়ের আড্ডাতেই কুসুমগাছি কালীতলায় একটি জলনিকাশি সমস্যা দেখতে গিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সমস্যার সমাধান করলেন। সেখানে বসেই নিজের বিধায়ক প্যাডে সই করে, স্ট্যাম্প মেরে দিলেন শংসাপত্রও৷ সাংবাদিকদের ইমানি জানালেন, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত বিধায়ককে এলাকার মানুষদের কাছে পৌঁছে তাঁদের সমস্যা সমাধানের কথা বলেছেন। তাতেই বিভিন্ন চায়ের দোকানে বসে তিনি মানুষকে সব রকম পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বিধায়ককে নাগালে পেয়ে ও সমস্যার সমাধানসূত্র পেয়ে খুশি এলাকার মানুষও।
আরও পড়ুন-উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন জেলা ইছামতী, বসিরহাট
একজন জানালেন, ছেলের একটা সার্টিফিকেটের জন্য বিধায়কের বাড়িতে যাচ্ছিলেন৷ পথে দেখি বিধায়ক একটি চায়ের দোকানে বসে৷ তিনি সেখানে বসেই দিয়ে দিলেন। এই ধরনের পরিষেবা কোথাও দেখা যায় না৷ ওঁর কাজে আমরা খুশি৷ তাপসী মণ্ডল নামে এক মহিলা বলেন, ‘চায়ের দোকানেই ওঁকে পেয়ে সমস্যার কথা বলতে ওখানে বসেই উনি সমাধান করে দিলেন৷’ বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন সেরাজুল ইসলাম, কটা শেখ, চন্দনা মণ্ডল প্রমুখ।