মোহনবাগান শক্তিতে এগিয়ে,লড়াকু মনোভাবে ইস্টবেঙ্গল

শনিবারের ডার্বি ম্যাচ দুটো দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। মোহনবাগানের কাছে এটা যেমন বদলার মঞ্চ। তেমন ইস্টবঙ্গলের সামনে চ্যালেঞ্জ জয়ের ছন্দ ধরে রাখার।

Must read

মানস ভট্টাচার্য: শনিবারের ডার্বি ম্যাচ দুটো দলের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ। মোহনবাগানের কাছে এটা যেমন বদলার মঞ্চ। তেমন ইস্টবঙ্গলের সামনে চ্যালেঞ্জ জয়ের ছন্দ ধরে রাখার।
একটা কথা স্বীকার করে নিচ্ছি, কার্লেস কুয়াদ্রাতের দল আমাকে চমকে দিয়েছে। মরশুমের শুরুতে ইস্টবেঙ্গলকে নিয়ে খুব একটা আশাবাদী ছিলাম না। কিন্তু এই দলটাই ডুরান্ড কাপের ফাইনালে উঠেছে। সুপার কাপ জিতেছে। শেষ তিনটে ডার্বির দুটোই জিতেছে। সুপার কাপে এক গোলে পিছিয়ে পড়েও যেভাবে তিন গোল মেরেছে, তার প্রশংসা করতেই হবে।

আরও পড়ুন-আর কত বঞ্চিত হব আমরা!

এর জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য কুয়াদ্রাতের। দায়িত্ব নিয়েই ইস্টবেঙ্গলকে পাল্টে দিয়েছেন স্প্যানিশ কোচ। ফুটবলারদের মধ্যে বিশ্বাসটা ফিরিয়ে এনেছেন যে, আমরাও পারি। লাল-হলুদ শিবিরের শরীরী ভাষাই বদলে দিয়েছেন। গত কয়েক মরশুমে যে দলটা বড় ম্যাচে লাগাতার হারছিল, সেই দলটাই এখন মাঠে নেমে শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়ছে। ম্যাচ জিতছে।
তবে শনিবার সৌভিক চক্রবর্তীকে পাচ্ছে না ইস্টবেঙ্গল। এটা কিন্তু বড় ধাক্কা। সৌভিক অনেকটা জায়গা জুড়ে খেলছিল বলেই সাউল ক্রেসপো-সহ বাকি মিডফিল্ডাররা ফ্রি খেলতে পারছিল। আমাদের সময়ের গৌতম সরকারও এভাবে গোটা মাঠজুড়ে খেলত। প্রচুর পরিশ্রম করত। সৌভিকের অভাব কুয়াদ্রাত কীভাবে মেটান, সেদিকে আমার চোখ থাকবে।

আরও পড়ুন-রাজ্যকে জল জীবন মিশন প্রকল্পের ১ হাজার কোটি টাকা দিল কেন্দ্র, মুখ্যমন্ত্রীর চাপের কাছে নতিস্বীকার

ইস্টবেঙ্গলের দুই উইঙ্গার নাওরেম মহেশ ও নন্দ কুমার খুব ভাল ফর্মে। নন্দ তো ইতিমধ্যেই দুটো ডার্বিতে গোল করেছে। ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে হিজাজি মাহের বলে ছেলেটা খুব ভাল খেলছে। রাইটব্যাক মহম্মদ রাকিবও নজর কাড়ছে। গোলকিপার প্রভসুখন গিল তিন কাঠির নীচে দলকে নির্ভরতা দিচ্ছে। আমি আলাদা করে ক্লেটনের কথাও বলব। ডার্বিতে ও যদি ফের নায়ক বনে যায়, তাহলে আমি বিন্দুমাত্র অবাক হব না।
অন্যদিকে, আন্তোনিও হাবাস পোড়খাওয়া কোচ। আগেও মোহনবাগানকে কোচিং করিয়েছেন। ভারতীয় ফুটবলকে হাতের তালুর মতোই চেনেন। তাই ডার্বির গুরুত্ব তাঁর অজানা নয়। আগের কোচ জুরান ফেরান্দো ৩-৫-২ ফর্মেশনে দলকে খেলাতেন। তবে হাবাসকে যতটা চিনি, তাতে শনিবার তিন নয়, মোহনবাগান চার ডিফেন্ডারে খেলবে বলেই আমার বিশ্বাস। সুপার কাপে জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলারকে মোহনবাগান পায়নি। তবে এবার অনিরুদ্ধ থাপা, সাহাল আব্দুল সামাদ, শুভাশিস বসু, মনবীর সিংরা খেলবে। শুনলাম, আনোয়ার আলিও চোট সারিয়ে ফিট। এটা হাবাসের বাড়তি সুবিধে। অনিরুদ্ধ ও সাহালের জন্য মোহনবাগানের মাঝমাঠের শক্তি অনেকটাই বেড়েছে। সঙ্গে রয়েছে দিমিত্রি পেত্রাতোস, হুগো বুমোসের মতো বিদেশিরা। বুমোস নিজের সেরা ফর্মে নেই। হাবাস বড় কোচ। উনি নিশ্চয়ই বুমোসের থেকে সেরা খেলা আদায় করে নিতে পারবেন। জেসন কামিন্স, আমান্দো সাদিকুরা রয়েছে।

আরও পড়ুন-৮ ফেব্রুয়ারি পেশ রাজ্য বাজেট

কিয়ান নাসিরির কথাও বলতে হবে। ছেলেটার মধ্যে কিন্তু খেলা আছে। ভাল খেলছে। হাবাস কিন্তু কিয়ানকে প্রয়োজনমতো ব্যবহার করে চমক দিতে পারেন। তবে জিততে হলে মোহনবাগানকে শুরু থেকেই চাপ তৈরি করতে হবে। সবশেষ একটা কথা বলব, এই ডার্বিতে শক্তির বিচারে সামান্য হলেও এগিয়ে মোহনবাগান।

Latest article