প্রতিবেদন : বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা এমনটাই চেয়েছিলেন। রবিবাসরীয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে আবার ডার্বি। গ্যালারি সেদিন কানায় কানায় পূর্ণ থাকবে। সমর্থকদের স্লোগান, উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হবে স্টেডিয়াম। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল বৃহস্পতিবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মোহনবাগানের জয়ের পরই। মোহনবাগান ভরা যুবভারতীতে ২-১ গোলে হারাল গোয়াকে। গোলদাতা জেসন কামিন্স ও আর্মান্দো সাদিকু। ২০০৪ সালের পর ফের ডুরান্ড কাপের ফাইনালে আবার ডার্বি। বাঙালির চিরকালীন বড় ম্যাচ।
আরও পড়ুন-২ তৃণমূল নেতাকে গুলি
মুম্বই সিটি এফসি-র মতো দলকে হারিয়ে ডুরান্ডের শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছিল সবুজ-মেরুন। ভয় ছিল আত্মতুষ্টির। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে যেন সেটাই হল। ছন্দে থাকা হুগো বুমোস এমন একটা ভুল করে বসবেন, কে জানত। ডান দিকে বল পাস করেন তিনি। তাও আবার গোয়ার ভয়ঙ্কর স্ট্রাইকার নোয়ার দিকে। কোনও সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকার সাধারণত এমন পরিস্থিতিতে সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। নোয়াও করেননি।
আরও পড়ুন-সাগরমেলায় লঞ্চ পরিষেবা বৃদ্ধির উদ্যোগ প্রশাসনের
২৩ মিনিটে নোয়ার গোলে এগিয়ে যাওয়ার পরই মোহনবাগান ফুটবলাররা মেজাজ হারাতে শুরু করেন। ফাউল করে কার্ড দেখেন অনিরুদ্ধ থাপা। এর কিছুক্ষণ পরেই সুযোগ চলে আসে মোহনবাগানের সামনে। কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন দিমিত্রি পেত্রাতোস।
গোয়ার প্রথম গোল যুবভারতীর গ্যালারিকে নিস্তব্ধ করে দেয়। এরপরই ৩৯ মিনিটে রেফারির সিদ্ধান্তে তৈরি হয় বিতর্ক। গোয়ার ডিফেন্ডার জয় গুপ্ত ট্যাকল করেছিলেন আশিক কুরুনিয়নকে। ট্যাকেল হয় বক্সের বাইরে এবং আশিক পড়েন বক্সের ভিতরে। পেনাল্টি না ফ্রি-কিক! এ নিয়ে নাটক চলার পর রেফারি পেনাল্টি দেন। ৪২ মিনিটে কামিন্স পেনাল্টি থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান।
আরও পড়ুন-ছুতো পেয়েই অমর্ত্যকে উপাচার্যের অশালীন আক্রমণ, বিশ্বভারতীকে প্রাক্তনীর ১০ কোটির সম্পত্তি
১-১ স্কোরলাইনে দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর মিনিট পনেরো পর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন সাদিকু। অফকালার বুমোসের পরিবর্তে ইউরো খেলা আলবেনীয় অ্যাটাকারকে নামান ফেরান্দো। বক্সের অনেকটা বাইরে বল পেয়ে সন্দেশ ঝিঙ্গানের মতো অভিজ্ঞ ডিফেন্ডারকে মাটি ধরিয়ে দূর থেকেই জোরাল শটে বল জালে জড়িয়ে দেন সাদিকু। ৬২ মিনিটে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। যুবভারতীর গ্যালারিতে তখন হাজার ওয়াটের আলো। পুরনো মেজাজে মোহনবাগান গ্যালারি। সবুজ-মেরুন আবিরে জয়োৎসব শুরু। গ্যালারিতে পোস্টার ‘এই মাঠেই বদলা নেব’। ততক্ষণে যেন সবুজ-মেরুন সমর্থকরা নিশ্চিত হয়ে যান জয় নিয়ে। মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কাইথ শেষ দিকে ফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে দুরন্ত একটি সেভ করে দলের দূর্গ রক্ষা করেন।