ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডে সাড়ে ৯ হাজারের বেশি আবেদন, শিল্পের সমাধান দারুণ সাড়া

স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ দেওয়া থেকে শুরু করে ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগী ব্যক্তিদের ঋণ সহ যাবতীয় সাহায্য করার জন্যই এই নয়া কর্মসূচি।

Must read

প্রতিবেদন : প্রথম দিনেই বিপুল সাড়া পড়ল ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রসারে রাজ্য সরকারের গৃহীত কর্মসূচিতে। মঙ্গলবার থেকেই শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের এই ‘শিল্পের সমাধানে’ কর্মসূচি। চলবে ১৮ অগাস্ট পর্যন্ত। গ্রাম থেকে শহর, সর্বত্র সোম থেকে শুক্র সপ্তাহে পাঁচদিন এই ক্যাম্প বসবে। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, প্রথম দিন অর্থাৎ সোমবার রাজ্য জুড়ে ১৬৬টি শিবিরের আয়োজন করা হয়। যেখানে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত ১২২৪২ জন মানুষ অংশ নিয়েছেন।

আরও পড়ুন-জমিজট কাটিয়ে শুরু হয়ে গেল প্রায় ৪ কোটির সরকারি প্রকল্প, চার মাসেই চালু হবে নতুন দমকল কেন্দ্র

এর পাশাপাশি প্রথম দিনের জলপাইগুড়ি এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে জেলা স্তরের কর্মসূচি ও আয়োজন করা হয়েছিল। প্রথম দিনে রাজ্য সরকারের এমএসএমই পোর্টালে নাম তুলেছেন ৩৭৪৫ জন তাঁত শিল্পী। তিন হাজারের কাছাকাছি ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প সংস্থা উদয়ন পোর্টালে নাম তুলেছে। ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের জন্য জমা পড়েছে ২৭০০-র বেশি আবেদনপত্র। আগামিদিনে এই সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশা করছেন উদ্যোক্তারা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ দেওয়া থেকে শুরু করে ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোগী ব্যক্তিদের ঋণ সহ যাবতীয় সাহায্য করার জন্যই এই নয়া কর্মসূচি। ব্যবসায় ঝোঁক থাকা বেকার যুবক, যুবতীদের আর্থিক সাহায্য করা হবে এই শিল্পের সমাধানে ক্যাম্পে। পাশাপাশি মিলবে ব্যবসায় উন্নতি করার সঠিক পরামর্শ এবং দিশা। এই কর্মসূচিতে ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডে ৯ হাজার ৬০০টি আবেদন এবং উদ্যম রেজিস্ট্রেশনে ১৪ হাজার জনকে যুক্ত করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন-সীমান্ত জুড়ে কড়া নজরদারি

সরকারি পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন করলে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই পণ্য বিক্রয়ের সুযোগ থাকবে। দেশীয় বাজার সহজে ধরতে পারবেন প্রত্যেকে। পাশাপাশি নতুন নতুন পণ্যসামগ্রী সম্পর্কেও ধারণা মিলবে। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের নতুন আবেদনপত্র জমা হবে। ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ডের আবেদনও সংগ্রহ করা হবে। এছাড়াও উৎকর্ষ বাংলাতে নাম তোলানো ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামও থাকছে। সেই সঙ্গে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ঋণ প্রদানের জন্যও আবেদন করতে বলা হয়েছে এই সব শিবিরে। শিল্পের সমাধানে কর্মসূচির মাধ্যমে গোটা অগাস্ট মাস রাজ্য জুড়ে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প এবং এর সঙ্গে যুক্ত তাঁতি, কারিগরদের কাছে পৌঁছবে রাজ্য। পাশাপাশি ৫ লাখ কারিগর ও তাঁতির নাম নথিভুক্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।

Latest article