প্রতিবেদন : বাংলার পাওনা আদায়ে দিল্লির বুকে যেমন বৃহত্তর আন্দোলন হবেই, একইসঙ্গে মানুষের অধিকার বুঝে নিতে প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও যাব। সোমবার পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির প্রচারসভায় দাঁড়িয়ে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপির দ্বিচারিতা ও এজেন্সি-রাজনীতির বিরুদ্ধেও গর্জে উঠেছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এদিন পুরুলিয়া জেলার উন্নয়নের তালিকা সামনে রেখে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ করেন অভিষেক।
আরও পড়ুন-রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিধিভঙ্গের অভিযোগ, কমিশনকে চিঠি তৃণমূল কংগ্রেসের
সোমবার মহারাষ্ট্রের এনসিপিতে ভাঙন ও অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেল-সহ একাধিক এনসিপি সাংসদ-বিধায়কের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই তদন্ত করছে। সব মিলিয়ে মোট ৭৩ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তাদের বিজেপিতে যোগদান— এর অর্থ হল, সব তদন্ত স্তব্ধ হয়ে যাওয়া। অভিষেকের কথায়, প্রধানমন্ত্রীর মিথ্যাচার, অন্যদিকে এজেন্সির জুজু দেখিয়ে মহারাষ্ট্রে এনসিপি ভেঙে দিয়েছে বিজেপি। দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া তো দূরস্থান, বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ঢুকেই দুর্নীতিতে ছাড় পাচ্ছে দলবদলুরা। তাদের নিচ্ছে নিজেদের দলে ও সরকারে। তাদেরকেই এবার এনডিএতে শামিল করল বিজেপি।
আরও পড়ুন-ব্যর্থ অগ্নিপথ প্রকল্প, নেপালি যুবকরা যোগ দিচ্ছেন ওয়াগনারে
এরপরেও প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপি নেতারা নিজেদের সপক্ষে সাফাই গাইবেন। বলবেন, আমরাই হলাম গ্যারান্টার। এরকম গ্যারান্টার বাংলার মানুষ চান না। সোমবার পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপিকে ধুইয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আরও একবার সামনে আনলেন বিজেপির আসল কুৎসিত চেহারাটা। তাঁর কথায়, যাদের বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই মামলা চালাচ্ছে তাদের বিজেপি প্রোটেকশন দিয়ে দলে নিচ্ছে। বাংলায় দলবদলু গদ্দারকে কাগজে মুড়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা হয়েছে? অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। আবার তাদের নিয়েই সরকার তৈরি করছে। এই তো বিজেপির আসল চেহারা।
আরও পড়ুন-দুর্নীতির মামলার ভয়েই দলবদল, ইডিকে ব্যবহার করে মহারাষ্ট্রে ‘অপারেশন কমল’ বিজেপির
এদিন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়েও বিজেপিকে তোপ দাগেন অভিষেক। তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা আগে বলত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নাকি ভিক্ষা। এখন বলছে ভোটে জিতলে তারা মহিলাদের হাজার টাকা করে দেবে। আমার বক্তব্য, ১২টা রাজ্যে ক্ষমতায় আছে বিজেপি। এর মধ্যে একটা রাজ্যে সব মহিলাকে এক হাজার টাকা করে দিতে পারলে তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। তৃণমূল কংগ্রেস কথা দিয়ে কথা রাখে। বিজেপি কথা দিয়ে পালিয়ে যায়।