প্রতিবেদন : তেভাগা আন্দোলনের পীঠস্থান দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার খা পুর গ্রামে এলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার হরিরামপুরে জনসভা শেষে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব ও মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র-কে সঙ্গে নিয়ে খা পুরের তেভাগা আন্দোলনের শহিদ স্মৃতি সৌধস্থলে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেখানে পৌঁছে তিনি পুষ্পস্তবক দিয়ে তেভাগা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সেই সঙ্গে তিনি তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের সদস্য-সদস্যাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁদের হাতে উপহার তুলে দেন। তারা অভিষেককে তাঁদের বাড়ি পাননি বলে জানান।
আরও পড়ুন-গড়পারে গুপি-বাঘার মূর্তি
অভিষেক বলেন, কেন্দ্র টাকা না দেওয়াতেই এই পরিস্থিতি। ১৪টি শহিদ পরিবারের পাশে দাঁড়াবে রাজ্য এবং তাঁদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। শোনেন অভাব-অভিযোগের কথা, খোঁজ নেন তাঁদের সুবিধা-অসুবিধারও। অভিষেককে কাছে পেয়ে মনের কথা খুলে বলেন শহিদ পরিবারের সদস্য-সদস্যারাও। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্তরিক ব্যবহারে মুগ্ধ শহিদ পরিবারের সদস্য-সদস্যারাও। তেভাগা আন্দোলনের শহিদ পরিবারের সদস্যা বয়োজ্যেষ্ঠা কল্পনা মণ্ডল জানিয়েছেন, অভিষেক তাঁর বয়স কত, কে দেখাশোনা করে, কেমন আছেন তা তাঁর কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন। তিনি জানান, তিনি অভিষেককে জানিয়েছেন যে তিনি তাঁর মেয়ের সঙ্গেই থাকেন। অভিষেকের সঙ্গে প্রথম আলাপচারিতার অভিজ্ঞতা বর্ণনায় শহিদ পরিবারের সদস্যা কল্পনা মণ্ডলের বক্তব্য, অভিষেককে কাছ থেকে আগে দেখিনি, ভাল লাগছে, ছেলের মতো বয়স। অভিষেককে কাছ থেকে দেখতে এদিন খা পুর শহিদ সৌধস্থলে জনসাধারণের ঢল নামে।
আরও পড়ুন-তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা
মঙ্গলবার একইসঙ্গে দণ্ডী কাণ্ডের ৪ আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করলেন অভিষেক। দক্ষিণ দিনাজপুরে এসে তিনি তপন ব্লকের চক সাথিয়ার গ্রামে যান। সেখানে চা পর্ব চলাকালীন তিনি ওই ৪ জন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে কথা বলেন। এদিন ওই চা পর্ব চলাকালীন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আদিবাসী তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সন্তোষ হাঁসদা। চা পর্ব শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেক বলেন , তৃণমূল কংগ্রেস এই ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে সমর্থন করে না।
আরও পড়ুন-কর্নাটকের এক-তৃতীয়াংশ জেলাই দারিদ্র আর অপুষ্টির শিকার
অন্য কোনও রাজনৈতিক দল এই ঘটনাকে সমর্থন করতে পারে না, যারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাদের কাউকে যেন রেয়াত না করা হয়। তাঁর সংযোজন, পুলিশ ২ জনকে গ্রেফতারও করেছে। আমরা শুনেছি আগের মহিলা সভানেত্রীর এই ঘটনার পিছনে ভূমিকা ছিল, শোনা মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে মহিলা সভানেত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং তাঁর জায়গায় স্নেহলতা হেমব্রমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপরই অভিষেকের হুঁশিয়ারি, দলের যতবড় নেতা বা নেত্রী এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকুক না কেন তাদের কাউকেই রেয়াত করা হবে না।