প্রতিবেদন : রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কোনও মহার্ঘভাতা বকেয়া নেই। কর্মীদের মহার্ঘভাতা দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্য উদাসীন বলে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা ঠিক নয়। হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এ কথা দৃঢ়তার সঙ্গে জানিয়ে দিল রাজ্য। পুজোয় অনুদান সম্পর্কিত জনস্বার্থ মামলায় মঙ্গলবার এই হলফনামা পেশ করা হয় রাজ্যের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন-নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে ধরনা
শুধু তাই নয়, মামলাকারীকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করার জন্যও আবেদন জানানো হয়েছে আদালতে। অনুদান বিষয়ক মামলাটির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা খারিজ করার দাবিও জানিয়েছে রাজ্য। এবারে দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা কমিটিগুলিকে ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেই হাইকোর্টে দায়ের করা হয় জনস্বার্থ মামলা। এদিনের হলফনামায় কী জানিয়েছে রাজ্য? রাজ্য কোনও মহার্ঘভাতা বকেয়া রাখেনি। তাই আদালতে আর্জি জানানো হয়েছে রায় পুনর্বিবেচনার।
আরও পড়ুন-শূন্য পদের তালিকা তৈরির কাজ শুরু
বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন। দ্বিতীয়ত, মহার্ঘ ভাতা এবং পুজোর অনুদান সম্পূর্ণ সম্পর্কহীন বিষয়। দু’টিকে এভাবে একসঙ্গে এনে অভিযোগ করা যায় কি? অনুদানের যুক্তি, সংবিধান বলছে, রাজ্য সরকার মনে করলে জনগণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে পারে। তা ছাড়া, দুর্গাপুজোকে দেওয়া ইউনেস্কোর হেরিটেজ তকমা শুধু রাজ্যের নয়, দেশেরও গর্ব। সংবিধানের ৫১(ক) ধারা বলছে, হেরিটেজ রক্ষার দায়িত্ব দেশের নাগরিকেরই। তাই এর জন্য অর্থবরাদ্দ।