নয়াদিল্লি : সেনাবাহিনীতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির বিষয়ে সরাসরি জবাব এড়িয়ে গেল কেন্দ্র। পাশাপাশি সরকার স্বীকার করল, ভারতীয় সেনাবাহিনীতে (Indian Army) এই মুহূর্তে এক লক্ষেরও বেশি সেনার ঘাটতি রয়েছে৷ রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ জহর সরকারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে জানালেন প্রতিরক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট। তিনি জানিয়েছেন, ২০২০ এবং ২০২১ সালে করোনা অতিমারির কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়া ধাক্কা খেয়েছে। তাই পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতেই ফের বাহিনীতে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেনাবাহিনীর জন্য বাজেট বরাদ্দ ১২ শতাংশ বা ৪ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয় ভাট সরাসরি সে প্রশ্নের সরাসরি জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বার্ষিক মোট খরচ, দায়বদ্ধতা, বকেয়া প্রকল্পের মতো দিকগুলি বিবেচনা করে তিন বাহিনীর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: বিরোধী চাপে স্থায়ী কমিটিতে গেল বিদ্যুৎবিল
অন্যদিকে, পরিসংখ্যান দিয়ে অজয় ভাট জানিয়েছেন, বর্তমানে সেনাবাহিনীতে (Indian Army) অফিসার পদমর্যাদার ৭ হাজার ৭৯৯ এবং সৈনিক পদমর্যাদার ১ লক্ষ ৮ হাজার ৬৮৫টি শূন্যপদ ফাঁকা পরে রয়েছে। বাহিনীতে নিয়োগে উৎসাহ দিতে বিভিন্ন ধরনের প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানান তিনি। লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানিয়েছেন, শূন্যপদের ঘাটতি মেটাতে শর্ট সার্ভিস কমিশন থেকে পার্মানেমন্ট কমিশনে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে পুরুষ ও মহিলাদের। শিবসেনা সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী রাজ্য ও লিঙ্গভিত্তিক এনডিএ এবং আইএনএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের তালিকা চেয়েছিলেন। যদিও প্রতিরক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারের কাছে এই ধরনের কোনও তথ্য নেই। আরেক সাংসদ জানতে চেয়েছিলেন, সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত নার্সিং অফিসাররা প্রাক্তন সেনা কর্মী মর্যাদা এবং সুযোগ-সুবিধা পান কি না। সে প্রশ্নের জবাবে অজয় ভাট জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, তাঁরা প্রাক্তন সেনাকর্মীর আওতায় পড়েন না। তবে তাঁদের পেনশন দেওয়া হয়।