প্রতিবেদন : আইএসএল ফাইনালের আগে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের ঢল নেমেছে গোয়ায়। মারগাঁওয়ের বাঙালি হোটেলগুলোতে মেনু কার্ডে মিলছে পছন্দের পদ। পাশাপাশি বিনোদনের জন্য পাব, বার, গিটার সব সাজিয়ে হাতছানি দিচ্ছে কোলবা বিচ। বাঙালিদের অন্যতম প্রিয় ডেস্টিনেশন এই কোলবা বিচ। বেঙ্গালুরু সমর্থকরাও আসছেন। তবে কলকাতা ও ভিন রাজ্য থেকে গোয়াগামী মোহন সমর্থকদের সংখ্যাটা অনেক বেশিই। সেই ২০১৯-২০ মরশুমে মোহনবাগান আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আর তেমন সাফল্য নেই বাংলার ফুটবলে। একবার আইএসএল ফাইনালে পা দিলেও স্বপ্ন ছোঁয়া হয়নি। এবার কী হবে? বাংলায় ট্রফি ফেরানোর আশায় শনিবার সকালে মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্তর সঙ্গে গোয়া যাচ্ছেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। থাকছেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্তও। শুধু সবুজ-মেরুন সমর্থকরা নন, আশায় বুক বেঁধেছে গোটা বাংলা।
আরও পড়ুন-অ্যাডিনো নয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা হচ্ছে শিশুদের
এটিকে না মোহনবাগান? রিমুভ এটিকে দাবি আপাতত স্তিমিত। ৯০ মিনিটের জন্য সব মুলতুবি রেখে মোহনবাগান পরিবার এককাট্টা। শনিবারের মেগা ফাইনালে সবুজ-মেরুনের সামনে সুনীল ছেত্রীদের বেঙ্গালুরু এফসি। ব্লুজদের সঙ্গে কলকাতার দ্বৈরথ সেই আই লিগ থেকেই আলাদা মাত্রা পেয়ে আসছে। আইএসএলে দু’দলের ছ’বারের মুখোমুখি সাক্ষাতে মোহনবাগান ৪-১ এগিয়ে থাকলেও যুবভারতীতে এবারের লিগে শেষ ম্যাচে জিতেছিল বেঙ্গালুরু। যে রয় কৃষ্ণ, প্রবীর দাস, সন্দেশ ঝিঙ্গানরা গত মরশুমেই ছিলেন সবুজ-মেরুন শিবিরে, এবার তাঁরা প্রতিপক্ষ শিবিরে সুনীলের সতীর্থ। তবে তাঁদের নিয়ে ভাবনা থাকলেও ভীতি নেই মোহনবাগানে।
আরও পড়ুন-সিকিমে প্রবল তুষারপাত, বন্ধ রাস্তা
চেনা প্রতিপক্ষ কিন্তু পুরনো সতীর্থরা উল্টো দিকে থাকছে। মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল বলছেন, ‘‘বন্ধুত্ব মাঠের বাইরে। ৯০ মিনিট ওরা প্রতিপক্ষ। ওরা টানা এগারোটা ম্যাচ জিতে ফাইনালে। বেঙ্গালুরুকে থামানোই আমাদের কাজ। কৃষ্ণ বিপজ্জনক, সুনীলের মতো অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার আছে। ওরা ম্যাচের রং বদলে দিতে পারে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। বেঙ্গালুরু ম্যাচ আমাদের কাছে অন্য ডার্বি।’’ ফাইনালের আগে সবুজ-মেরুন শিবিরের ছবিটাও স্বস্তি দিচ্ছে মেরিনার্সদের। চোট পেয়ে মরশুমের শুরুতে ছিটকে যাওয়া জনি কাউকো দলকে সমর্থন করতে শুক্রবার গোয়ায় এসে পৌঁছন।
আরও পড়ুন-চৌবাচ্চায় হরেকরকম মাছচাষ করে স্বনির্ভরতার দিশা
দলে কোনও চোট সমস্যা নেই। আশিক কুরুনিয়নও ফাইনাল খেলার জন্য তৈরি। শুক্রবার বেনোলিমে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে নেয় জুয়ান ফেরান্দোর দল। স্প্যানিশ কোচের সামনেও জবাব দেওয়ার ম্যাচ। তাঁর রণনীতি, দল নির্বাচন নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। কৃষ্ণ, প্রবীরদের না রাখা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সেসব মাথায় রেখেই হয়তো ফাইনালের আগে জুয়ান বলেছেন, ‘‘ম্যানেজমেন্ট আমার উপর যে আস্থা রেখেছে, ট্রফি জিতে তার প্রতিদান দিতে চাই। আমরা প্রতিপক্ষ দলের বিশেষ কাউকে নিয়ে চিন্তিত নই। খেলা হবে দুটো দলের মধ্যে। ছেলেরা প্রচুর আত্মত্যাগ করেছে, পরিশ্রম করেছে। ট্রফিটা ওদের প্রাপ্য। ৯০ মিনিটেই ম্যাচ শেষ করতে চাই। যদিও সেটা পুরোপুরি আমাদের হাতে নেই।’’