প্রতিবেদন : দুর্নীতি নিয়ে বিজেপির প্যান্ডোরার বাক্স খুলে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারের একমাত্র পঞ্চায়েত ঘোকসাডাঙা, যা বিজেপির দখলে রয়েছে। আর সেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত-নেত্রী দুর্নীতির কোন কারনামা খুলেছেন তা প্রকাশ্যে ফাঁস করে দিলেন। দেখিয়ে দিলেন কোচবিহারে মাত্র একটা পঞ্চায়েতেই আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে বিজেপি৷ এদের হাতে রাজ্যের ক্ষমতা গেলে কী ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে ভেবে দেখুন একবার। কটাক্ষ দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের।
আরও পড়ুন-কোচবিহারের মাথাভাঙা কলেজ মাঠ উপচে পড়ল জনস্রোতে
অভিষেক বলেন, ২০১৮ সালে ১২৭টি পঞ্চায়েত তৃণমূল জিতেছিল। ১টি জিতেছিল বিজেপি। সেই পঞ্চায়েত হল ঘোকসাডাঙা। সেই পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান দীপ্তিদেবী স্বামীর নামে জব কার্ড তৈরি করেছে। স্বামীর নাম রতন বর্মন। স্বামীর কাকা অর্থাৎ দীপ্তিদেবীর শ্বশুর বিজনকুমার বর্মন বাংলা আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছেন। এটা আমার কথা নয় বা মিথ্যে বলছি না, সব রেকর্ড রয়েছে। অর্থাৎ একই পরিবারের তিনজনের নামে ঘর। এরপরই তীব্র কটাক্ষে অভিষেক বলেন, উনি একটা পঞ্চায়েতে জিতেই তিনটে জমি কিনেছেন। একটা পঞ্চায়েত জিতেই এই অবস্থা। বাংলায় ক্ষমতা পেলে বিজেপি কী করত একবার ভাবুন! অথচ কেশপুরে স্বামী-স্ত্রী তৃণমূল করে বলে বাড়ি পর্যন্ত নেয়নি। এটাই ফারাক।
আরও পড়ুন-২০ মার্চ দিল্লিতে ফের কৃষক আন্দোলন
কোচবিহারের মানুষ এখান থেকে সাংসদ করে একজনকে পাঠিয়েছেন। তিনি কেন্দ্রের মন্ত্রীও। অথচ সংসদে দাঁড়িয়ে কোনওদিন এখানকার সমস্যর কথা তো দূর অস্ত্, আজ পর্যন্ত সংসদে কোচবিহারের নামটুকুও নেননি তিনি। এই তো বিজেপির আসল চেহারা। এরা ভোটের আগে একরকম। ভোটের পরে আর-একরকম। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সারা বছর মানুষের পাশে থাকে। এখন সামনে কেনও ভোট নেই৷ পঞ্চায়েত নির্বাচনের এখনও তিন মাস বাকি। কিন্তু আমি এখন এসেছি। এবার আসতে একটু দেরি হল, তাই আপনাদের কাছে হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি আগামী মার্চ মাসেই আবার আলিপুরদুয়ারে আসব।