প্রাইভেট টিউশন বন্ধ হওয়ায় পড়ুয়াদের সমস্যা মেটাতে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে অবৈতনিক পাঠশালা

মিলন বিদ্যাপীঠে গিয়ে দেখা যায়, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির ৫৩ ছাত্রছাত্রী পঞ্চায়েতের পাঠশালায় উপস্থিত। অধিকাংশই নিম্নবিত্ত পরিবারের।

Must read

সুস্মিতা মণ্ডল , সাগর: প্রাকৃতিক দুর্যোগ ইয়াসের ফলে ঘটে যাওয়া বন্যা, সঙ্গে কোভিড মহামারীর ভ্রুকুটি প্রায় দু’বছর ঘোড়ামারাকে পিছিয়ে দিয়েছিল অনেকটাই। ফলস্বরূপ স্থায়ী অর্থনৈতিক কাঠামোর অবনমনের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ে এলাকার সামগ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থায়। দিন দিন বাড়ছিল স্কুলছুটের সংখ্যা। ঘটছিল বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রমের মতো সামাজিক অপরাধ। পাল্লা দিয়ে কমছিল পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ। সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষা দফতর বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রাইভেট টিউশন পড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ফলে আর্থিক সঙ্গতি থাকা ছাত্রছাত্রীদের প্রাইভেট টিউশন পড়া বন্ধের পাশাপাশি যাদের সামর্থ্য নেই তাদেরও টিউশন পড়া সোনার পাথরবাটির নামান্তর।

আরও পড়ুন-স্কুলছাত্রীদের নিয়ে পুলিশের কর্মসূচি

এই পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধানের অভিনব উপায় বের করল সাগর ব্লকের অন্তর্গত রাজ্যের ক্ষুদ্রতম গ্রাম পঞ্চায়েত ঘোড়ামারা। বুধবার পঞ্চায়েতের উদ্যোগে শুরু হল অবৈতনিক ‘পঞ্চায়েতের পাঠশালা’র। স্থানীয় মিলন বিদ্যাপীঠে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে পঞ্চায়েত প্রধান সঞ্জীব সাগর বলেন, ‘এটি মূলত একটি পাঠ সহায়তা কেন্দ্র, যেখানে এসে পড়ুয়ারা পুঁথিগত পাঠগ্রহণের পাশাপাশি প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার শিক্ষাও নেবে। এই দ্বীপের অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীর প্রাইভেট টিউশন পড়ার সঙ্গতি নেই। তাই পঞ্চায়েত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এখানে পড়াশোনার জন্য তাদের থেকে কোনও অর্থ নেওয়া হবে না।’

আরও পড়ুন-অভাবী-মেধাবীদের নিখরচায় প্রশিক্ষণ

মিলন বিদ্যাপীঠে গিয়ে দেখা যায়, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণির ৫৩ ছাত্রছাত্রী পঞ্চায়েতের পাঠশালায় উপস্থিত। অধিকাংশই নিম্নবিত্ত পরিবারের। তাদের পড়ানোর দায়িত্ব বিনা পারিশ্রমিকে কাঁধে তুলে নিয়েছেন পঞ্চায়েতের কয়েকজন কর্মচারী এবং এলাকার কয়েকজন শিক্ষিত যুবক। সামাজিক উন্নয়নে ঘোড়ামারা গ্রাম পঞ্চায়েতের এই অভিনব উদ্যোগ পঞ্চায়েত ব্যবস্থাপনায় নতুন দিশা দেখাবে বলে মনে করে বুদ্ধিজীবী মহল।

Latest article