নিখরচায় প্লাস্টিক সার্জারি

জানা গিয়েছে, শম্পার ডান হাতের তৃতীয় এবং চতুর্থ আঙুলের মাঝে তালুতে অস্বাভাবিক মাত্রায় দ্রুত বেড়ে উঠছিল জায়ান্ট সেল টিউমার।

Must read

সুমন করাতি, শ্রীরামপুর : টিউমারের কারণে হারিয়ে গিয়েছিল হাতের কর্মক্ষমতা। অত্যাধুনিক শল্য চিকিৎসার দৌলতে কাজ করার ক্ষমতা ফিরে পেলেন হুগলির বেগমপুর এবং শ্রীরামপুরের ২ মহিলা। সৌজন্যে শ্রীরামপুর সুপার স্পেশ্যালিটি ওয়ালস হাসপাতাল।

একেবারে বিনা খরচে টিউমার অপারেশন এবং প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে তাঁরা ফিরে পেলেন স্বাভাবিক জীবন। অত্যন্ত নিখুঁতভাবে মুন্সিয়ানার সঙ্গে চণ্ডীতলা বেগমপুরের গৃহবধূ শম্পা দত্ত এবং শ্রীরামপুরের জীতেন্দ্রনাথ লাহিড়ী রোডের বাসিন্দা ৫৫ বছরের মহিলা ভারতী দাসের হাতে প্লাস্টিক সার্জারি করলেন ডাঃ দীপ্তাংশু দাস। সহযোগীর ভূমিকায় ডাঃ সৌম্যদীপ সাই। সফল অপারেশনের মধ্যে দিয়ে এক কথায় নজির গড়লেন সরকারি হাসপাতালের এই দুই শল্যচিকিৎসক।

আরও পড়ুন-সমস্যার সমাধানে দুয়ারে তৃণমূল কর্মীরা

জানা গিয়েছে, শম্পার ডান হাতের তৃতীয় এবং চতুর্থ আঙুলের মাঝে তালুতে অস্বাভাবিক মাত্রায় দ্রুত বেড়ে উঠছিল জায়ান্ট সেল টিউমার। নিজের হাতে জল গড়িয়ে খাওয়ার ক্ষমতাটুকুও হারিয়েছিলেন তিনি। তাঁর স্বামী সৌরভ দত্ত একটি দোকানের সামান্য কর্মী। রয়েছে একটি শিশুসন্তানও। চিকিৎসার সঙ্গতি কোথায়! অন্যদিকে শ্রীরামপুরের প্রৌঢ়া ভারতী দাসের ডান হাতের তালুতে ধরা পড়ে নার্ভসিড টিউমার। প্রায় বছরখানেক ধরে ভুগছিলেন তিনি। লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বাইরে চিকিৎসার সামর্থ্য ছিল না তাঁরও। মুশকিল আসানের ভূমিকায় এগিয়ে এলেন শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের বিশিষ্ট শল্য চিকিৎসক দীপ্তাংশু দাস। সফল সার্জারির পরে দু’জনেই এখন সুস্থ বলে জানা গিয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।

Latest article