একুশের সমাবেশ স্মরণীয় করতে ঝাঁপাল পুরুলিয়া

উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি-সহ জেলার ২০ ব্লকের সভাপতি ও নেতারা।

Must read

সংবাদদাতা, পুরুলিয়া : পঞ্চায়েত ভোটের ফলে হয়েছে রেকর্ড। এবার একুশে জুলাইয়ের সমাবেশেও রেকর্ড গড়তে চায় পুরুলিয়া। শহিদ সমাবেশে জেলা থেকে লক্ষাধিক লোক নিয়ে গিয়ে কলকাতা মাতিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিলেন দলের জেলা নেতারা। মঙ্গলবার পুরুলিয়া ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত জেলা স্তরের প্রস্তুতি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া, মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু, পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি-সহ জেলার ২০ ব্লকের সভাপতি ও নেতারা।

আরও পড়ুন-দারিদ্র ও শিশুমৃত্যু কমেছে পশ্চিমবঙ্গে, স্বীকার করল কেন্দ্র

ভিড়ে ঠাসা সভায় পঞ্চায়েতে জয়ের জন্য সবাইকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। সংবর্ধনা জানানো হয় বিজয়ী প্রার্থীদের। সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, ‘‘একুশের সমাবেশ এবার বিশেষ মাত্রা নিয়ে আসছে। বাংলার প্রতি বিজেপি সরকারের বঞ্চনা, রাজ্যভাগের চক্রান্ত, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টার বিরুদ্ধে যে জনমত তৈরি হয়েছে তা ওইদিন দেখতে ও বুঝতে পারবে গদ্দার নেতা ও তার দল। শুধু ধর্মতলা নয়, কলকাতা ঢেকে যাবে মিছিলে।’’

আরও পড়ুন-ভাঙনের কারণ কেন্দ্রের বঞ্চনা

বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীবলোচন সরেন বলেন, ‘‘জঙ্গলমহলে ইতিমধ্যে শতাধিক বাস রিজার্ভ করে ফেলেছেন কর্মীরা। নিজেরাই চাঁদা দিচ্ছেন। এছাড়া প্রায় একশো ছৌশিল্পী কলকাতা যাচ্ছেন। জঙ্গলমহল লড়তে জানে। বিজেপিকে বুঝিয়ে দেবে মিথ্যে দিয়ে বেশিদিন চলে না।’’ পুরুলিয়া শহর তৃণমূল সভাপতি প্রদীপ দাগা বলেন, ‘‘কলকাতা সমাবেশে গিয়ে একশ্রেণির মানুষ গঙ্গাস্নান করবেনই। তাঁরা যাতে সকাল সকাল স্নান সেরে সমাবেশে যেতে পারেন তা নজরে রাখা হবে। এবার সমাবেশ থেকেই দিল্লি দখলের লড়াই শুরু হবে।’’

Latest article