ভাঙনের কারণ কেন্দ্রের বঞ্চনা

ভাঙন রোধে কোনওরকম সাহায্য করেনি কেন্দ্র। অতিবৃষ্টির কারণে নদীর দু’কূল ছাপিয়ে জল ঢুকেছে উত্তরের একাধিক জেলায়।

Must read

সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার : ভাঙন রোধে কোনওরকম সাহায্য করেনি কেন্দ্র। অতিবৃষ্টির কারণে নদীর দু’কূল ছাপিয়ে জল ঢুকেছে উত্তরের একাধিক জেলায়। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। দুর্গতদের পাশে নেই বিজেপির কোনও নেতা-মন্ত্রী। প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা, আপনার উচিত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে এভাবেই কেন্দ্রতে একহাত নিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক।

আরও পড়ুন-বাদল অধিবেশন

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এদিন বিশেষ দল সঙ্গে নিয়ে পরিদর্শনে যান তিনি। প্রথমেই আলিপুরদুয়ার ১ নম্বর ব্লকের জলদাপাড়া সংলগ্ন শাল কুমারের সিসামারা নদীর বাঁধ পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। তারপর সেখান থেকে কালচিনি ব্লকের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন তিনি। সেখানে মেচপাড়া চা-বাগান ও জয়গাঁ ঝরনা বস্তি পরিদর্শনে যাওয়ার কথা আছে তাঁর। বন্যায় ভেঙে যাওয়া সিসামারা নদীর বাঁধ এদিন পরিদর্শন করেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, তাঁর সঙ্গে ছিলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। এরপর তিনি জয়গাঁ-র উদ্দেশ রওনা দেন। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রাক্তন জে ডি এ চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা।

আরও পড়ুন-মোদির বিরুদ্ধে I.N.D.I.A, বেঙ্গালুরুতে মঙ্গলবার ২৬টি বিরোধী দলের বৈঠকের পর বিভিন্ন বক্তারা সংক্ষেপে তাঁদের লক্ষ্য তুলে ধরলেন

মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ জয়গাঁ থানার অন্তর্গত বাসরা নদীর বাঁধ পরিদর্শন করেন এই বিশেষ দল। এছাড়াও জেলার বন্যা কবলিত জলদাপাড়া সংলগ্ন সিসামারা নদীর বাঁধ, বাসরা নদীবাঁধ, জয়গাঁ-র জিএসটি মোড় এলাকা পরিদর্শন করেন। আলিপুরদুয়ারে বন্যার জন্য কার্যত প্রতিবেশী দেশ ভুটান এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁর অভিযোগ, দেশের প্রধানমন্ত্রী আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন শুনছেন না। তাই তিনি আলিপুরদুয়ারের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লাকে অনুরোধ জানান অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে আলিপুরদুয়ার জেলাবাসীর বন্যার সমস্যার সমাধানের উদ্যোগ নিতে।

Latest article