চাপে পড়ে হুমকি পুতিনের

২৪ ফেব্রুয়ারি একতরফা যুদ্ধের ঘোষণা করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভেবেছিলেন ইউক্রেন জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা! কিন্তু সেই হিসাব মেলেনি।

Must read

২৪ ফেব্রুয়ারি একতরফা যুদ্ধের ঘোষণা করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভেবেছিলেন ইউক্রেন জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা! কিন্তু সেই হিসাব মেলেনি। ইউক্রেনকে বাগে আনতে ব্যর্থ হয়ে মরিয়া রুশ বাহিনী নির্বিচারে হত্যা করছে ইউক্রেনের নিরীহ নাগরিকদের। বেআইনিভাবে ধ্বংস করছে বহুতল বাসস্থান, বাজার, স্কুল, হাসপাতাল, থিয়েটারহল সহ অসামরিক কেন্দ্রগুলি। বিশ্বজনমত পুতিনের বিরুদ্ধে। বাড়ছে নিষেধাজ্ঞার বোঝা। রাশিয়ার ভিতরেও যুদ্ধবিরোধী আওয়াজ ক্রমশ সংহত হচ্ছে। পরিস্থিতি বিগড়ে যেতেই ক্রুদ্ধ রুশ প্রেসিডেন্ট এবার রাশিয়াকে আবর্জনামুক্ত করার হুমকি দিলেন। এক বার্তায় পুতিন বলেছেন, রাশিয়া থেকে তিনি কিছু বিশ্বাসঘাতকের সঙ্গে কিছু আবর্জনাও বিদায় করতে চান। মুখে ভুল করে মাছি ঢুকে গেলে মানুষ যেমন তা বের করে ফেলে, সেভাবেই এই বিশ্বাসঘাতকদের সরিয়ে দেওয়া হবে। সমাজকে মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করা দরকার, তবেই দেশ শক্তিশালী হবে। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, নিজের দেশে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে দমন করার হুমকি ও আগাম পরিণতির কথা শুনিয়ে রাখলেন যুদ্ধবাজ পুতিন। দেখতে দেখতে ২৩ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও ইউক্রেন জয় করতে পারেনি রাশিয়া। এই অবস্থায় ইউক্রেন জয়ে মরিয়া রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করল আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের গোয়েন্দা প্রধান স্কট ব্যারিয়ারের আশঙ্কা, ইউক্রেনের প্রতিরোধ যদি আরও দীর্ঘ হয়ে ওঠে তাহলে পশ্চিমি দেশগুলির বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারেন পুতিন। রাশিয়ার অস্ত্র ভাণ্ডারে টান পড়েছে বলে মনে করছে আমেরিকা।

আরও পড়ুন-উচ্চমাধ্যমিকে প্রস্তুতির রণকৌশল

ডোনবাসের আকাশকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করল রাশিয়া। রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে ডোনবাস। শুক্রবার ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক- সহ গোটা অঞ্চলের আকাশকে নো ফ্লাই জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে মস্কো। রুশ সেনার অনুমতি ছাড়া কোনও বিমান প্রবেশ করলে গুলি করে নামানোর নির্দেশ।
ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মনে প্রবল আতঙ্ক তৈরি করতে স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, থিয়েটার ও আবাসনগুলির উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ উঠল রুশ সেনার বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে পশ্চিম ইউক্রেনের লিভিভ বিমানবন্দরের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। চেরনহিভের মেয়র জানিয়েছেন, শেষ ২৪ ঘন্টায় রুশ হামলায় কমপক্ষে ৬০ জন সাধারণ নাগরিকের প্রাণ গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিনটি শিশু।

আরও পড়ুন-রাশিয়ার তেল: মার্কিন খবরদারিতে ‘না’ দিল্লির

মারিউপোলের থিয়েটারে বোমা হামলার পর শুক্রবারও উদ্ধারকাজ চলছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বেশ কিছু মানুষ আটকে রয়েছে বলে উদ্ধারকারীদের অনুমান। যুদ্ধের ২৩তম দিনেও ইউক্রেনের একাধিক শহরে বোমা ও মিসাইল হামলা বাড়িয়েই চলেছে রাশিয়া। রাজপথ ভেসে যাচ্ছে রক্তের স্রোতে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে একের পর এক বহুতল। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ছিন্নভিন্ন দেহ। যত দিন গড়াচ্ছে ততই সাধারণ মানুষকে নিশানা করছে রুশ সেনা। ইউক্রেনের ১০টি শহর ইতিমধ্যেই মস্কোর দখলে। বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব ইউক্রেনের মেরেফা শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি। আমেরিকার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে তোপ দাগল ব্রিটেন। এদিন ব্রিটেন সাফ জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে যে তাণ্ডব চালাচ্ছে তা অবশ্যই যুদ্ধাপরাধ। রাশিয়ার হয়ে লড়াই করতে ইউক্রেনে উদ্দেশ্যে বাছাই করা এক হাজার চেচেন যোদ্ধা পাঠিয়েছে চেচেন রিপাবলিক। পুতিনের কাছের লোক হিসেবেই পরিচিত চেচেন রিপাবলিকের প্রধান রমজান কাদিরভ এই খবর জানিয়েছেন। এর আগেও পুতিন তাঁর বিরোধীদের বাগে আনতে চেয়েছেন যোদ্ধাদের কাজে নামিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন-তফাত আছে, তফাত থাকবেই

২৪ ফেব্রুয়ারি একতরফা যুদ্ধের ঘোষণা করে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভেবেছিলেন ইউক্রেন জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা! কিন্তু সেই হিসাব মেলেনি। ইউক্রেনকে বাগে আনতে ব্যর্থ হয়ে মরিয়া রুশ বাহিনী নির্বিচারে হত্যা করছে ইউক্রেনের নিরীহ নাগরিকদের। বেআইনিভাবে ধ্বংস করছে বহুতল বাসস্থান, বাজার, স্কুল, হাসপাতাল, থিয়েটারহল সহ অসামরিক কেন্দ্রগুলি। বিশ্বজনমত পুতিনের বিরুদ্ধে। বাড়ছে নিষেধাজ্ঞার বোঝা। রাশিয়ার ভিতরেও যুদ্ধবিরোধী আওয়াজ ক্রমশ সংহত হচ্ছে। পরিস্থিতি বিগড়ে যেতেই ক্রুদ্ধ রুশ প্রেসিডেন্ট এবার রাশিয়াকে আবর্জনামুক্ত করার হুমকি দিলেন। এক বার্তায় পুতিন বলেছেন, রাশিয়া থেকে তিনি কিছু বিশ্বাসঘাতকের সঙ্গে কিছু আবর্জনাও বিদায় করতে চান। মুখে ভুল করে মাছি ঢুকে গেলে মানুষ যেমন তা বের করে ফেলে, সেভাবেই এই বিশ্বাসঘাতকদের সরিয়ে দেওয়া হবে। সমাজকে মাঝেমধ্যে পরিষ্কার করা দরকার, তবেই দেশ শক্তিশালী হবে। বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, নিজের দেশে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে দমন করার হুমকি ও আগাম পরিণতির কথা শুনিয়ে রাখলেন যুদ্ধবাজ পুতিন।
দেখতে দেখতে ২৩ দিন কেটে গিয়েছে। এখনও ইউক্রেন জয় করতে পারেনি রাশিয়া। এই অবস্থায় ইউক্রেন জয়ে মরিয়া রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করল আমেরিকা। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতরের গোয়েন্দা প্রধান স্কট ব্যারিয়ারের আশঙ্কা, ইউক্রেনের প্রতিরোধ যদি আরও দীর্ঘ হয়ে ওঠে তাহলে পশ্চিমি দেশগুলির বিরুদ্ধে পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারেন পুতিন। রাশিয়ার অস্ত্র ভাণ্ডারে টান পড়েছে বলে মনে করছে আমেরিকা।
ডোনবাসের আকাশকে নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করল রাশিয়া। রুশপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে রয়েছে ডোনবাস। শুক্রবার ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক- সহ গোটা অঞ্চলের আকাশকে নো ফ্লাই জোন হিসেবে ঘোষণা করেছে মস্কো। রুশ সেনার অনুমতি ছাড়া কোনও বিমান প্রবেশ করলে গুলি করে নামানোর নির্দেশ।
ইউক্রেনের সাধারণ মানুষের মনে প্রবল আতঙ্ক তৈরি করতে স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল, থিয়েটার ও আবাসনগুলির উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করার অভিযোগ উঠল রুশ সেনার বিরুদ্ধে।
শুক্রবার দুপুরে পশ্চিম ইউক্রেনের লিভিভ বিমানবন্দরের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। চেরনহিভের মেয়র জানিয়েছেন, শেষ ২৪ ঘন্টায় রুশ হামলায় কমপক্ষে ৬০ জন সাধারণ নাগরিকের প্রাণ গিয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিনটি শিশু।
মারিউপোলের থিয়েটারে বোমা হামলার পর শুক্রবারও উদ্ধারকাজ চলছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও বেশ কিছু মানুষ আটকে রয়েছে বলে উদ্ধারকারীদের অনুমান।
যুদ্ধের ২৩তম দিনেও ইউক্রেনের একাধিক শহরে বোমা ও মিসাইল হামলা বাড়িয়েই চলেছে রাশিয়া। রাজপথ ভেসে যাচ্ছে রক্তের স্রোতে। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে একের পর এক বহুতল। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে ছিন্নভিন্ন দেহ। যত দিন গড়াচ্ছে ততই সাধারণ মানুষকে নিশানা করছে রুশ সেনা। ইউক্রেনের ১০টি শহর ইতিমধ্যেই মস্কোর দখলে। বৃহস্পতিবার রাতে পূর্ব ইউক্রেনের মেরেফা শহরে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ২৫ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৫০ জনের বেশি।
আমেরিকার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে তোপ দাগল ব্রিটেন। এদিন ব্রিটেন সাফ জানিয়েছে, রাশিয়া ইউক্রেনে যে তাণ্ডব চালাচ্ছে তা অবশ্যই যুদ্ধাপরাধ।
রাশিয়ার হয়ে লড়াই করতে ইউক্রেনে উদ্দেশ্যে বাছাই করা এক হাজার চেচেন যোদ্ধা পাঠিয়েছে চেচেন রিপাবলিক। পুতিনের কাছের লোক হিসেবেই পরিচিত চেচেন রিপাবলিকের প্রধান রমজান কাদিরভ এই খবর জানিয়েছেন। এর আগেও পুতিন তাঁর বিরোধীদের বাগে আনতে চেয়েছেন যোদ্ধাদের কাজে নামিয়েছিলেন।

Latest article