সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : ফের অনশন অবস্থানে শারীরিক ও মানসিক হেনস্থার শিকার বিশ্বভারতীর সাত পড়ুয়া। এর আগে ২১ অগাস্ট একইভাবে সুবর্ণরেখার মোড়ে ছয় পড়ুয়া অনশন বিক্ষোভে বসেন। তাঁদের মধ্যে ওবিসি সম্প্রদায়ভুক্ত ছাত্রী ও একজন প্রসূতিও ছিলেন। তাঁদের অভিযোগ, বিশ্বভারতীর (Visva Bharati) নৃতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক অর্ণব ঘোষ ও বিনয় ভবনের অধ্যাপক রাজর্ষি রায়ের বিরুদ্ধে। উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ৩০টি চিঠি লেখেন নির্যাতিত ছাত্রীরা। তাঁদের অপরাধ, তাঁরা অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের কুইঙ্গিতে সাড়া দেননি। অভিযোগ, এক প্রসূতির মেটারনিটি লিভ মঞ্জুর না করায় তাঁর পিএইচডি রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যায়। এখনও কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ। তাই হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভে বসলেন বিশ্বভারতীর নৃতত্ত্ব ও এডুকেশন ডিপার্টমেন্টের পড়ুয়ারা। এক প্রেস রিলিজে তাঁদের দাবি, তাঁরা রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, রাজ্য মহিলা কমিশনে অভিযোগ করেন। সংশ্লিষ্ট দফতর ব্যবস্থা নিতে বললেও, দুই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে উপাচার্য ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। অভিযোগের নিরপেক্ষ তদন্ত করতে হলে, তদন্ত চলাকালীন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাসপেনশনে রাখা কর্তব্য। কিন্তু অভিযুক্ত দুই শিক্ষক বহাল তবিয়তে আছেন। ফলে পড়ুয়ারা আতঙ্কিত। তাছাড়াও পড়ুয়াদের প্রশ্ন, বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) ছাত্রীরা কতিপয় শিক্ষকের অন্যায়ের শিকার। তাঁদের অপরাধ আড়াল করতে চাইছে কর্তৃপক্ষ। কোন স্বার্থে? এ বিষয়ে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন- পুজোয় সস্তায় ময়দা-চিনি দেবে রাজ্য