সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন : যাদবপুরে ছাত্র নির্যাতনের রেশ না কাটতেই বিশ্বভারতীতে র্যাগিং। অভিযোগ পেয়ে গভীর রাত পর্যন্ত মিটিং ডেকে তিন অভিযুক্তকে হস্টেল থেকে বহিষ্কার করল বিশ্বভারতী। ওই ছাত্রদের ভবিষ্যৎ কী হবে তা নির্ধারণে তাঁদের অভিভাবকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের ওপর শিক্ষকদের লাগাতার যৌন নির্যাতনের যে অভিযোগ রয়েছে, সে ব্যাপারে নিশ্চুপ।
আরও পড়ুন-সম্প্রীতির রাখি বাঁধতে যুবকল্যাণ দফতরের উদ্যোগ, সাত লাখ রাখির বরাত পেল কালনা
বিহারের বাসিন্দা এক পড়ুয়াকে হেনস্তার অভিযোগে অভিযুক্ত তিন পড়ুয়া, নিচু বাংলো হস্টেলের তিন ছাত্র শুভ সরকার, অঙ্কিত কুমার এবং মণীশ কুমার। ভাষা ভবনের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। দু’জন ফরাসি ও একজন জার্মান ভাষার। নির্যাতিত ছাত্র ফ্রেঞ্চ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, ওদেরই সহপাঠী। অভিযোগ পেয়ে রাতেই হস্টেলে হানা দেন উপাচার্য। তিনজনকে বের করে পূর্বপল্লির গেস্ট হাউসে রাখা হয়। মঙ্গলবার তাদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়। অভিযোগ, তিন পড়ুয়া সহপাঠীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, গায়ে থুতু দেওয়া, মানসিক নির্যাতন, এমনকী ছাত্রটির মোবাইল জঙ্গলে ফেলে দিয়েছে। সন্ধে সাতটা নাগাদ ইউজিসির অ্যান্টি র্যাগিং ফোরাম, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোকটর অফিসে মেল ঘটনাটি জানান নির্যাতিত পড়ুয়া।
আরও পড়ুন-প্যারাসিটামল কিনলে নামধাম লেখাতে হবে ক্রেতাকে, ডেঙ্গি প্রতিরোধে বিশেষ নজরদারি আসানসোলে
রাত ৮টা নাগাদ ইউজিসি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বিশ্বভারতীকে বলে। তখন উপাচার্যের নেতৃত্বে সমস্ত ভবন অধ্যক্ষদের নিয়ে সেন্ট্রাল অফিসে অন্য একটি বৈঠক চলছিল। র্যাগিংয়ের অভিযোগ পাওয়া মাত্রই রাতে পূর্বপল্লি বয়েজ হস্টেলে হানা দেন খোদ উপাচার্য। শান্তিনিকেতন থানায় এখনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। এ নিয়ে জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়কে বারবার ফোন করেও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।