প্রতিবেদন : তিহাড় জেলে বসেই দলের বিধায়কদের পরামর্শ দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বৃহস্পতিবার সেই ভিডিওবার্তা বিধায়কদের কাছে পৌঁছে দিলেন আপ-সুপ্রিমোর স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল। জানালেন সাংবাদিকদেরও। কেজরি বলেছেন, আমি জেলে আছি বলে দিল্লির বাসিন্দারা যেন কোনওভাবেই কোনও অসুবিধের মধ্যে না পড়েন। এই সময়ে প্রত্যেক বিধায়কেরই অবশ্য কর্তব্য, প্রতিদিনই নিজের এলাকায় যাওয়া। মানুষের সুবিধে-অসুবিধে নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এবং সমাধান করতে হবে দ্রুত।
আরও পড়ুন-দল ছেলেকে যোগ্য সম্মান দিচ্ছে না, দিলীপের মায়ের বিস্ফোরক অভিযোগ
এদিকে কেজরিকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে দায়ের করা দ্বিতীয় মামলাটিও এদিন খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার। কেজরিওয়ালকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার আর্জি ধোপে টিকল না দিল্লি হাইকোর্টে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানিয়ে দিল, তিনি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন কি না সেটা তাঁর বিষয়। গণতন্ত্রকে নিজের পথে চলতে দিন। দেশের স্বার্থকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। বিষ্ণু গুপ্তা নামে হিন্দু সেনার এক নেতা বিষ্ণু গুপ্তা ও সমাজকর্মীর দায়ের করা এই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। কিন্তু এদিন তা শোনার আগেই মামলাটি খারিজ করে দেন দিল্লি হাইকোর্টের অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি মনমোহন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, এই জনস্বার্থ মামলা শুনবে না আদালত। তবে হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, কখনও কখনও জাতীয় স্বার্থের কাছে ব্যক্তিগত স্বার্থকে মাথানত করতে হয়। সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের কাছে যাওয়ার জন্য মামলাকারীকে পরামর্শ দিয়েছে আদালত। আদালতের বক্তব্য, এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন রাষ্ট্রপতি কিংবা লেফটেন্যান্ট গভর্নর। মামলাকারী পরে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে কেজরিওয়ালের অপসারণের আর্জি নিয়ে তিনি এবার দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের দ্বারস্থ হবেন।
আরও পড়ুন-তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে কামতাপুরিরা
এদিকে দলের সুপ্রিমোর গ্রেফতারের প্রতিবাদে সামনের ৭ এপ্রিল দিল্লির যন্তর-মন্তরে অনশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলের নেতা-কর্মীরা। জানিয়েছেন মন্ত্রী এবং দলের দিল্লি শাখার আহ্বায়ক গোপাল রাই। অন্যদিকে জামিনে মুক্তি পেয়ে উল্লসিত কর্মী-সমর্থকদের প্রতি আপ-সাংসদ সঞ্জয় সিংয়ের বার্তা, এখন উৎসব করার সময় নয়, এখন লড়াইকে আরও জোরদার করার সময়।