দায়ী বিএসএফ, সন্তানহারাদের সাহায্য দলের

চোপড়া চলুন। আগামী কাল বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ-কথাই বলবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে।

Must read

প্রতিবেদন : সন্দেশখালি যেতে পারলে চোপড়া নয় কেন? চোপড়া চলুন। আগামী কাল বৃহস্পতিবার রাজভবনে গিয়ে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এ-কথাই বলবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে। বিএসএফের চূড়ান্ত গাফিলতিতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় চার নিষ্পাপ, নিরীহ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। ইতিমধ্যেই স্থানীয়স্তরে প্রতিবাদ-কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। চোপড়ায় এমন মর্মান্তিক ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনও হেলদোল নেই রাজ্যপালের। মঙ্গলবার দলের তরফে জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল মৃত শিশুদের প্রত্যেকের পরিবারের হাতে ৩ লক্ষ টাকা করে তুলে দেন। আজ এই হতভাগ্য পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন শিশু কমিশনের সদস্যরা।

আরও পড়ুন-অসদুপায় রুখতে উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্নে গোপন বারকোড, নয়া পন্থা সংসদের

তাই শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যপালের সময় চেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ১৫ তারিখে দুপুর ১২টায় রাজ্যপাল তৃণমূল প্রতিনিধিদলকে সাক্ষাতের জন্য সময় দিয়েছেন। মূলত সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে তাঁদের এই রাজভবনযাত্রা বলে জানানো হয়েছে তৃণমূলের তরফে। মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক ও মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, মন্ত্রী শশী পাঁজা ও ব্রাত্য বসু। তৃণমূলের স্পষ্ট বক্তব্য, ১২ সদস্যের এই প্রতিনিধি দল শুধু রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎই করবে না, একই সঙ্গে রাজ্যপালের কাছে তাঁরা জানতে চাইবেন, সন্দেশখালি বা অন্যান্য ইস্যুতে যেভাবে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের ‘শিরদাঁড়া থেকে শীতল স্রোত বয়ে যায়’— এক্ষেত্রেও তেমন হচ্ছে কি না। অথবা চোপড়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যপাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কোনও চিঠি লিখবেন কি না!

আরও পড়ুন-হাসপাতালে ভর্তি ফিরহাদ

এ-দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ব্রাত্য বসু বলেন, বারংবার বিএসএফের তরফ থেকে এই ধরনের ঘটনা ঘটে। কখনও রাজবংশী যুবককে গুলি থেকে শুরু করে মহিলাদের উপর অত্যাচার, এখানে চার শিশুকে জীবন্ত কবর দেওয়া হল। একই সঙ্গে তৃণমূলের তরফ থেকে বিভিন্ন ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে সাম্প্রদায়িক বিভাজনেরও চেষ্টা চলছে, তা নিয়েও অভিযোগ করা হয়েছে। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, অপরাধীর আবার ধর্ম হয় নাকি! কেউ যদি অপরাধ করে থাকেন, হিন্দু হলেও যেভাবে তা নিন্দনীয়, একইভাবে মুসলমান হলেও নিন্দনীয়। এ-সব করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি রাজ্যে একটা বিভাজনের রাজনীতি করতে চাইছেন। কুণাল ঘোষ বলেন, চোপড়ায় বিএসএফ দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছে। যার জেরে চারটি নিষ্পাপ শিশুর প্রাণ চলে গেল। এর দায় বিএসএফ কেন নেবে না? বিজেপি এত বড় বড় কথা বলে, কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রীরা তো বড় বড় কথা বলেন এখন চোপড়ার এই ঘটনার পর তাঁরা চুপ কেন— প্রশ্ন কুণাল ঘোষের।

Latest article