সুন্দরবনের মানুষের ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের ছবি নিয়ে আমেরিকার পথে দুর্গাপুরের সায়রী

বারো মাসই কাটে দুর্যোগের আবহে। কখনও বিধ্বংসী ঝড়ের দাপট তো কখনও বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সাগরের আগ্রাসী মনোভাব সহ্য করতে হয়

Must read

প্রতিবেদন : বারো মাসই কাটে দুর্যোগের আবহে। কখনও বিধ্বংসী ঝড়ের দাপট তো কখনও বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সাগরের আগ্রাসী মনোভাব সহ্য করতে হয়। এর ওপর আবার আছে আচমকা বাঘের হানার ভয়। এইসব নিয়েই বেঁচে আছেন সুন্দরবনের (Sunderban) মানুষ। সুন্দরবনবাসীর এই লড়াইয়ের গল্প শোনাতেই আমেরিকা পাড়ি দিচ্ছেন আইআইটি জম্মুর বাঙালি গবেষক দুর্গাপুরের সায়রী মিশ্র।

আরও পড়ুন-কর্মীদের কাজে গতি আনতে সারপ্রাইজ ভিজিট চেয়ারম্যানের

সুন্দরবনের মানুষের জীবনযাত্রা, প্রতিদিনের লড়াই নিয়ে তিনি জলজঙ্গলের দেশে পাঁচ বছর পড়ে থেকে গবেষণা করেন ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং সোশ্যাল রিলেশনশিপ থ্রু ওয়াটার রিসোর্স স্ট্রেস পার্সপেক্টিভ ফ্রম দ্য ইন্ডিয়ান সুন্দরবন’ বিষয়ে। এনআইটি থেকে এমএসডব্লুতে স্নাতকোত্তর গোল্ড মেডালিস্ট হওয়ার পরই জম্মু আইআইটিতে গবেষণা করতে যান দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের কর্মী রাজীব মিশ্রর এই কৃতী কন্যা। বাংলার ম্যানগ্রোভ অঞ্চলের মানুষের প্রায় রোজকার সংগ্রামের কথা সায়রী তুলে ধরতে চান বিশ্বের দরবারে। তাঁর এই গবেষণা নজর কাড়ায় তার স্বীকৃতিস্বরূপ মার্কিন দেশ তাঁকে ফুলব্রাইট নেহরু ডক্টরাল রিসার্চ ফেলোশিপ দিয়েছে। সায়রীর মতে, সুন্দরবনের মানুষ বাঁচতে চান। সেখানে প্রতি বছর বিঘের পর বিঘে খেতের জমি সাগরে চলে যায়। তা আটকাতে এলাকার যুবকেরা শক্ত বাঁধ তৈরির চেষ্টা করেন। এভাবে হয়ত এক সময় মানচিত্র থেকে মুছে যায় সুন্দরবনের বহু এলাকা। তবুও জলজঙ্গলের দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ে বিশ্বাসী। সেই ঐক্যবদ্ধ সমাজের ছবি বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকেও পথ দেখাবে বলে মনে করেন সায়রী।

Latest article