প্রতিবেদন : কুৎসিত কাণ্ড৷ আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়া খুনি–ধর্ষক গুরমিত রাম রহিম প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বিজেপি নেতাদের নিয়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করছেন৷ ২০ বছর কারাবাসের সাজা পাওয়া এই কুখ্যাত অপরাধীর পাশে দাঁড়িয়ে হাততালি দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা৷ বেনজির এই ঘটনার ভাইরাল ভিডিওতে আরও দেখা যাচ্ছে, স্বঘোষিত ধর্মগুরু তরোয়াল দিয়ে কেন কাটছেন৷ এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই দেশ জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন-নেতাজি আতঙ্কবাদী! বিজেপি বিধায়কের মন্তব্যে নিন্দার ঝড়
অস্ত্র আইনের অধীনে তরােয়াল দিয়ে কেক কাটা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তা নিয়েও সরব হয়েছেন অনেকে। নেটিজেনরা বলেছেন, স্বঘোষিত ধর্মগুরু ফের আইন ভঙ্গ করেছেন। তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত। এর আগেও গুরমিতকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া নিয়ে দিল্লির মহিলা কমিশন-সহ একাধিক সংগঠন হরিয়ানা সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে। এমন অপরাধীর পাশে বিজেপি নেতারা কেন, প্রশ্ন বিরোধীদের৷ ধর্ষণ ও খুনের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত গুরমিত ৪০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর, শনিবার বাগপতের বারনাওয়া আশ্রমে পৌঁছন। সেখানেই তিনি তরোয়াল দিয়ে কেক কাটেন। রাম রহিমের বহু অনুগামী তাঁর এই স্বাধীনতা উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে হরিয়ানার একাধিক শীর্ষস্থানীয় বিজেপি নেতাও যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন-খবর গোপন করায় জরিমানা হল এয়ার ইন্ডিয়ার
উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ কৃষাণলাল পানওয়ার এবং প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষাণকুমার বেদীও। স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুর অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি বিতর্ক বাড়িয়েছে। ২০২২-সালের ১৪ অক্টোবর প্যারোলে মুক্তি পাওয়ার পর নিয়মিত অনলাইনে সৎসঙ্গ করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাম রহিম। ওই অনুষ্ঠানেও বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি বিতর্ক তৈরি করেছিল। ডেরার ম্যানেজার রঞ্জিত সিংহকে খুন ও সিরসার আশ্রমে দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ডেরা সাচা সৌদা প্রধানকে ২০ বছরের সাজা দিয়েছে কোর্ট৷