প্রতিবেদন : মর্মান্তিক মৃত্যু। আফ্রিকা থেকে ইউরোপের দিকে পাড়ি দিতে গিয়ে ৮৬ জন পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে ডুবে গেল লিবিয়ার জাহাজ। তার মধ্যে শিশু সহ নিখোঁজ ৬০ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। মৃতেরা মূলত আফ্রিকার নাইজেরিয়া, গাম্বিয়া ও আফ্রিকার অন্যান্য দেশের নাগরিক। এই ঘটনায় দুই মহাদেশের পরিযায়ী শ্রমিক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক।
আরও পড়ুন-বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য আকর্ষণ বাড়াতে পদক্ষেপ রাজ্যের
আফ্রিকা থেকে ইউরোপে ঢুকতে লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে আসেন পরিযায়ীরা। ইতালি হয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যাতায়াতের জন্য এই সহজ পথ বেছে নেন অফ্রিকার মানুষ। এই পথে পারাপার হতে গিয়ে এর আগেও কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে। জুন মাসে দক্ষিণ গ্রিসের উপকূল থেকে প্রায় ১০০ জনকে উদ্ধার করা হয় জাহাজডুবির পর। শনিবার লিবিয়ার জুয়ারা শহর থেকে রওনা দেওয়া জাহাজটি দুর্ঘটনায় পড়ার পর প্রায় ২৫ জনকে উদ্ধার করে লিবিয়ার একটি ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে আসা হয়।
আরও পড়ুন-দলের নেতারা চোর, দুর্নীতিগ্রস্ত বলে ফেসবুকে তোপ অনুপমের
তিউনিশিয়া ও লিবিয়ার পথ ধরে এবছরই প্রায় ১ লক্ষ ৫৩ হাজার পরিযায়ী ইতালির পথে ইউরোপে প্রবেশ করেছে বলে দাবি করছে ইংল্যান্ডের রিফিউজি এজেন্সি। এই দুর্ঘটনার পর ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক কথা বলেন ইতালি, জর্জিয়া এবং আলবানিয়ার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে। পরিযায়ীদের অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে ইউরোপের একাধিক দেশ।