সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী সব অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির নির্দেশ, বোর্ড গঠন হলেই উন্নয়নের কাজ শুরু

একই সঙ্গে তিনি এদিনের বৈঠকে অনগ্রসর কল্যাণ দফতর এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের কল্যাণমূলক কর্মসূচি দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার নির্দেশও দিয়েছেন

Must read

প্রতিবেদন : পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ। এবার রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শুক্রবার নবান্নে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। জেলাশাসক, মহকুমাশাসক, বিডিওরা ছাড়াও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র, পঞ্চায়েত, শ্রম, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিল্প, পূর্ত-সহ উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত সব দফতরের সচিব।

আরও পড়ুন-আগাম ঘােষণা ছাড়াই বহু ট্রেন বাতিল, দুর্ভোগ যাত্রীদের

মুখ্যসচিবের নির্দেশ, ১৬ অগাস্টের মধ্যে পঞ্চায়েতের নতুন বোর্ড গঠনের কাজ শেষ করতে হবে এবং ১৯৭৫ সালের পঞ্চায়েতবিধি মেনে প্রথম প্রশাসনিক বৈঠক করতে হবে। বোর্ড গঠনের সময় কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে জেলা প্রশাসনকে। এদিন ডেঙ্গি নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়। প্রতিবছরের মতো এবারও অনেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মুখ্যসচিব বলেন, স্বাস্থ্য দফতরে নির্দেশিকা মেনে দ্রুত এই রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

আরও পড়ুন-আজ ৪১, অবসর ওড়ালেন জিমি

‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে জমা পড়া সব অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। ‘শিল্পের সমাধান’ কর্মসূচি কার্যকর করতে ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে হবে। এই কর্মসূচিতে যেসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ঋণ পাওয়ার জন্য আবেদন করবেন তাঁদের ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ পাওয়া নিশ্চিত করতে হবে। উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্পে কর্মসংস্থান সুযোগ বাড়াতে স্থানীয় বণিকসভার সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দ্রুততার সঙ্গে নিতে হবে। বেআইনি বালি খাদান সমস্যা রুখতে রাজ্যের স্যান্ড মাইনিং পলিসি ১০০ শতাংশ কার্যকর করতে হবে। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ অর্থ সময়সীমার মধ্যে ব্যয় করতে হবে। ওই অর্থে রাস্তা, শৌচালয়-সহ গ্রামীণ পরিকাঠামোর কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। একই সঙ্গে তিনি এদিনের বৈঠকে অনগ্রসর কল্যাণ দফতর এবং সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের কল্যাণমূলক কর্মসূচি দ্রুততার সঙ্গে শেষ করার নির্দেশও দিয়েছেন।

Latest article