২৫০ টি পুজো কমিটির সহযোগিতায় দৃষ্টিহীনদের জন্য বিশেষ পুজো পরিক্রমা ও ব্রেইল ডিসপ্লে স্ট্যান্ড চালু

এর পরেই শারদোৎসবে সামিল হবে আপামর বাঙালি। কিন্তু যাঁরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বা প্রবীণ নাগরিক তাঁরাও চান পুজোর আনন্দে সামিল হতে।

Must read

শ্রেয়া বসু: অপেক্ষার মাত্র কয়েকটা দিন। এর পরেই শারদোৎসবে সামিল হবে আপামর বাঙালি। কিন্তু যাঁরা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন বা প্রবীণ নাগরিক তাঁরাও চান পুজোর আনন্দে সামিল হতে। এবার তাঁদের জন্যই এনআইপি এনজিওর- ফোরাম ফর দুর্গোৎসব।

সাইনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, মমতা সুমিত বিনানী ফাউন্ডেশন, রোটারি ক্লাব অফ ক্যালকাটা ওল্ড সিটির সহযোগিতায় দৃষ্টিহীন, বিশেষ ভাবে সক্ষম ও প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষ পুজো পরিক্রমার ব্যবস্থা করেছে। মোট ২৫০ টি পুজো কমিটি এতে অংশ নেবে। প্রবীণ নাগরিক ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য থাকবে পৃথক বন্দোবস্ত তারা তিনটি পূজা প্যান্ডেল – হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটি, এস বি পার্ক এবং ইয়াং বয়েজ ক্লাব (চিৎপুর ক্রসিংয়ের কাছে) -এর জন্য দৃষ্টিহীনদের জন্য ব্রেইল ডিসপ্লে স্ট্যান্ড চালু করেছে।

আরও পড়ুন-গ্রাম চেনেন না, তিনিই পঞ্চায়েতের মুখ, অকৃতজ্ঞই পদ্মের মেরুদণ্ড

এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, কৃষিমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, শ্রী সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়, হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, মমতা বিনানি, NIP NGO-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং MSME ডেভেলপমেন্ট ফোরাম WB-এর সভাপতি; শ্রী তপন পট্টনায়ক, সাইনি গ্রুপের সিইও; কলকাতা ওল্ড সিটির রোটারি ক্লাবের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণ ভৌমিক; শ্রী সঞ্জয় মজুমদার, দুর্গোৎসব ফোরাম; শ্রী দেবজ্যোতি রায়, NIP NGO-এর সেক্রেটারি সহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ

আরও পড়ুন-টিকিট নেই ৫ ঘণ্টা

এনআইপি এনজিওর প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং এমএসএমই ডেভেলপমেন্ট ফোরাম ডব্লিউবি-এর সভাপতি মমতা বিনানি এদিন বলেন, “প্রতিবন্ধিতা একজন ব্যক্তির বৈশিষ্ট্য নয়, বরং সামাজিক পরিবেশ দ্বারা সৃষ্ট পরিস্থিতির একটি জটিলতা। যখন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের প্যান্ডেলে প্রবেশের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে হবে না এবং পূজা প্রাঙ্গণে সরাসরি প্রবেশাধিকার থাকবে, তখন তা সত্যিই ভিন্নভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের উৎসবের আনন্দে অংশগ্রহণ করতে অনুপ্রাণিত করবে। একটু চিন্তাশীলতা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের একই অনুভূতি এবং আনন্দের সঙ্গে উৎসব উদযাপন করার সুযোগ দিতে পারে। অনেক পূজা কমিটি এই দিকে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে এবং অন্যরা শীঘ্রই অনুসরণ করবে এটাই আমরা আশা করি । আজকের বিশ্বে কিছু সক্ষম মানুষও কখনও কখনও তাদের চিন্তাভাবনা, আচরণ এবং অভিযোজন ক্ষমতার কারণে আরও বেশি প্রতিবন্ধী হয়।”

আরও পড়ুন-পুজোয় বৃষ্টি নয়

হাজরা পার্ক দুর্গোৎসব কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সায়ন দেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘এই পুজোর মরসুমের শুরুতে, যখন সকলেই উৎসবের আনন্দে সামিল হতে চায় তখন আমরা মানবতার তাগিদ থেকেই একটি অনন্য লড়াইকে সমর্থন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

Latest article