ছ’মাসে ফাইনালের পিচ বানিয়েছিলেন সুধীর

সুনীল গাভাসকর জানাচ্ছেন, তাঁরা ডাকতেন জেমস বলে। জেমস বন্ডের মতোই ঠান্ডা মাথায় সবকিছু তলিয়ে দেখতেন সুধীর নায়েক।

Must read

মুম্বই, ৬ এপ্রিল : সুনীল গাভাসকর জানাচ্ছেন, তাঁরা ডাকতেন জেমস বলে। জেমস বন্ডের মতোই ঠান্ডা মাথায় সবকিছু তলিয়ে দেখতেন সুধীর নায়েক। ‘‘শুধু ক্রিকেটার হিসাবে মুম্বই ক্রিকেটের সেবা করেনি সুধীর, অবসরের পর ওয়াংখেড়েতে দারুণ সব পিচ বানিয়েছে। আর এটাও ভুললে চলবে না যে কত নতুন প্রতিভাকে তুলে এনেছে সুধীর। তাদের ন্যাশনাল ক্রিকেট ক্লাবে খেলিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটের বড় ক্ষতি হয়ে গেল।’’ বলেছেন প্রয়াত ওপেনারকে খুব কাছ থেকে দেখা প্রাক্তন বিশ্বসেরা ওপেনার।

আরও পড়ুন-র‍্যাশফোর্ডের গোলে জয়, চারে ফিরল ম্যান ইউ

জাহির খান অসুস্থ সুধীরকে হাসপাতালে দেখে এসেছেন। তিনি বলছেন, ‘‘ওঁর সঙ্গে প্রথম মোলাকাতে উনি আমায় বলেছিলেন, ‘‘আমি তোমায় সব ‘এ’ ডিভিশন ম্যাচ খেলাব। তোমার পিছনে সময় দেব। তোমাকে ফিরে যেতে দেব না।” জাহির বলেছেন তখন তাঁর ১৮ বছর বয়স। আসতেন মহারাষ্ট্রের শ্রীরামপুর থেকে। মুম্বইয়ের ক্রিকেট সম্পর্কে কোনও ধারণা ছিল না। প্রাক্তন বাঁ হাতি ফাস্ট বোলার বলেছেন, ‘‘সুধীর স্যার এই যে আমার উপর এত আস্থা রেখেছিলেন, সেটা আমাকে ছুঁয়ে গিয়েছিল। তিনি আমাদের ক্লাব ক্যাপ্টেনকে আমার নাম জানিয়ে বলেছিলেন, ‘ওকে সব ম্যাচে দলে রাখবে।” জাহির ছাড়াও ওয়াসিম জাফর, নীলেশ কুলকার্নিরা উঠে এসেছেন প্রয়াত ক্রিকেটারের হাত ধরে।

আরও পড়ুন-বিশ্বকাপেও অনিশ্চিত কেন

আর এক প্রাক্তন দিলীপ বেঙ্গসরকার বলেছেন, ‘‘১৯৭৬-এ টাটা স্পোর্টস ক্লাবে উনি ছিলেন আমার প্রথম অধিনায়ক। আমার দ্বিতীয় রঞ্জি ম্যাচে বরোদার বিরুদ্ধে ওঁর সঙ্গে ২০২ রানের পার্টনারশিপ খেলেছিলাম। পরে সুধীরের সঙ্গে মুম্বই নির্বাচক কমিটিতে ছিলাম।” ভারতের হয়ে তিনটি টেস্ট ও দুটি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন সুধীর। প্রথম টেস্ট ১৯৭৫-এ ইডেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ৮৫টি ম্যাচে মুম্বই ক্রিকেটারের রান ৪,৩৭৬। তাঁর স্ত্রী বসুন্ধরা পেন্ডসে নায়েক কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন। তিনি ছিলেন শিক্ষা জগতের অত্যন্ত নামী ব্যক্তিত্ব। মেয়ে রাধিকা থাকেন মেলবোর্নে।

আরও পড়ুন-সন্তোষপুর রেলস্টেশনে বিধ্বংসী আগুন, হতাহতের খবর নেই

২০১১-তে ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচ বানিয়েছিলেন সুধীর। তৎকালীন টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর রত্নাকর শেঠি বলেছেন, সুধীরকে ছাড়া এত মসৃণভাবে খেলা করা যেত না। মাত্র ছ’মাসের মধ্যে পিচ তৈরি করেছিলেন সুধীর। একটা সময় মনে হয়েছিল ম্যাচ ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু সুধীর সবাইকে আশ্বস্ত করেছিলেন, পিচ সময়েই রেডি হয়ে যাবে।” বলেন শেঠি।

Latest article