রবিবারের গল্প: আমিই কেন?

কানে আসছে নদীর জল বয়ে যাবার কুলকুল আওয়াজ যা জংলাফুলের বুনো গন্ধের সাথে মাতামাতি করে জঙ্গলের শান্ত উন্মুক্ত পরিবেশকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলেছে।

Must read

শুভ্রা রায়: ফটোগ্রাফির নেশাটা আমার ভাললাগার সীমারেখা লঙ্ঘন করে কবে যে দায়িত্বের গণ্ডির ভিতর ঢুকে গেছে খেয়াল করিনি। পেশায় সাংবাদিক হলেও অফিস কলিগরা পাঁচবছরে জেনে গিয়েছিল বন্যপ্রাণী ফটোগ্রাফিতে আমি বিশেষ পারদর্শী। অফিস কলিগ সুশান্ত খুব করে ধরেছিল আমি যেন তাঁর বন্ধু সুজয় সেনগুপ্তের ডকুমেন্টরি ফিল্মে ফটোগ্রাফির কাজটা হাতে নিই। বেশি অনুরোধের উপেক্ষা করলে কর্মক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে ভেবে কাজটি করতে আমি রাজি হয়ে যাই।
আমি সমর্পণ মজুমদার, ব্যাগপত্র গুছিয়ে কলকাতা থেকে হাজির আলিপুরদুয়ারে জলদাপাড়া অভয়ারণ্যে। আমার আস্তানা জঙ্গলের ভিতর নদীর ধারের একটা কাঠের বাংলো। দু’দিন হল এখানে এসে উঠেছি। আমার মামাতো ভাই দেবোপম বেশ কয়েক মাস আগে বন্ধুদের সাথে এখান থেকে ঘুরে যায়। ও এই বাংলোটার সন্ধান দিয়েছিল।

আরও পড়ুন-প্র্যাকটিসে হাবাস, স্বস্তি দিচ্ছেন সাহাল

সন্ধেবেলায় বারান্দায় বসে আছি। সামনে কুয়াশার চাদরে মোড়া অমাবস্যার জঙ্গল। কানে আসছে নদীর জল বয়ে যাবার কুলকুল আওয়াজ যা জংলাফুলের বুনো গন্ধের সাথে মাতামাতি করে জঙ্গলের শান্ত উন্মুক্ত পরিবেশকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলেছে। এখানে সন্ধে নামতেই এক অন্ধকারাচ্ছন্ন মায়াবী পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বেশ কিছুটা তফাতে গাছগাছালিগুলো প্যারেড গ্রাউন্ডের সুসজ্জিত সৈনিকদের মতন বীরদর্পে দাঁড়িয়ে আছে। বাংলোর বারান্দায় বসে জঙ্গলের সান্ধ্য পরিবেশ উপভোগ করছি, বাংলোর কেয়ারটেকার শম্ভু এক কাপ কফি দিয়ে গেছে। চেয়ারে বসে কফির কাপটা হাতে নিয়ে দু-চুমুক দিয়েছি সবে হঠাৎই দেখতে পেলাম এক নারীমূর্তি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসছে। কুয়াশা-ঘেরা অন্ধকারে এতটাই অস্পষ্ট ছিল যে তাঁর সম্পূর্ণ অবয়ব দেখতে পেলাম না। শুধু শুনতে পেলাম বাংলোর ডানদিকের জঙ্গলে শুকনো পাতার উপর হেঁটে যাওয়ার খড়খড়ে শব্দ। খড়খড়ে শব্দটা বাংলোর ডানদিকে মিলিয়ে গেল তারপরই যা কর্ণকুহরে পৌঁছল আমার লোমকূপে শিহরন জাগিয়ে দিল। মেয়েলি গলায় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না, যা বাতাসের জড়তাকে বিদীর্ণ করে শান্ত নির্জনতায় প্লাবিত হতে লাগল। ভীষণ কৌতূহলী হয়ে উঠলাম। কিন্তু কান্নার শব্দ আর অন্ধকার ছাড়া কিছুই বুঝতে পারলাম না। আমি কিছুক্ষণ নিরীক্ষণ করে ঘরে ঢুকে এলাম। ঘরে ঢুকে কালকের ফটোগ্রাফি কাজের জন্য জঙ্গলের ম্যাপ দেখে দরকারি তথ্য ডায়েরিতে লেখার কাজে মনোনিবেশ করলাম। কিন্তু কান্নার রহস্য মনের মধ্যে দানা বেঁধে রইল। অদ্ভুত স্থবিরতা ছিল সেই কান্নার আওয়াজে, যে-স্থবিরতায় সত্য প্রকাশ অনিবার্য হয়ে উঠবে সেটা আমি তখনও বুঝতে পারিনি।

আরও পড়ুন-কোচবিহারে রোড শো-তে জনসমুদ্র, রাজবংশীদের সঙ্গে বৈঠকে অভিষেক

ঘড়িতে অ্যালার্ম দেওয়া ছিল, পরেরদিন ভোর পাঁচটায় উঠে একদম রেডি হয়ে গলায় ক্যামেরা ঝুলিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। অন্ধকারের চাদর একদম সরে গেছে রবির আগমনের নিয়মানুক বার্তা আকাশের গায়ে লালের আভা হয়ে বহুদূর ছড়িয়ে পড়েছে। এটাই সেই মোক্ষম সময় যখন বনের পশুরা তোর্সা নদীর পাড়ে জল খেতে একত্রিত হয়। আমি ফটো তোলার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠলাম। কিন্তু বাংলোর বাইরে আসতেই মনে পড়ে গেল গত সন্ধেবেলায় ওই কান্নার শব্দ। বাংলোর কেয়াটেকারকে ডেকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘শম্ভু, জঙ্গলে কোনও বসতি আছে? কাল রাত্রে ঠিক আমার ব্যালকনির পাশে এক মহিলার কান্নার শব্দ শুনতে পেয়েছিলাম। কে ছিল বলুন তো?’
শম্ভু জানালেন, ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের জন্য জঙ্গলের ভিতর কোনও বসতি নেই। তবে শুকনো ডালপালা ও মধুর খোঁজে অনেকেই আশপাশের অঞ্চল থেকে ঢুকে পড়ে। হিংস্র জীবজন্তুর কবলে পড়ে যাবার ভয়ে দুপুরের পর থেকে তাদেরও আর জঙ্গলে থাকার পারমিশন নেই।’
‘কাল আপনি কান্নার শব্দ শোনেননি?’
শম্ভু মুহূর্তক্ষণ চিন্তা করে বলল, ‘কান্নার শব্দ! কার কান্না! না তো— সেইরকম তো কিছু শুনিনি।’
আমি মনের কৌতূহল নিবারণ করতে বাংলোর ডানদিকের জঙ্গলে ঢুকলাম। জঙ্গলে সুরক্ষা প্রদানের জন্য আমার সঙ্গে আছে বন দফতরের শ্যামলাল সিং। শ্যামলাল সিং ঝাড়খণ্ডের লোক। বাংলা ভালই বোঝে। জঙ্গলের ঝোপঝাড় টপকে এগিয়ে চলেছি হঠাৎই দেখি একটা বিশাল শিরীষগাছ। গাছটার কাছে আসতেই মনে একটা খটকা লাগল, গাছের তলাটা বেশ পরিষ্কার রয়েছে। দেখে মনে হল এই কিছুক্ষণ আগেই ঝাঁট দিয়ে শুকনো পাতাগুলো সরিয়ে পরিপাটি করে গাছতলাটা পরিষ্কার করা হয়েছে। আমি শ্যামলালকে জিজ্ঞাসা করলাম, ‘এই গাছতলাটা এত পরিষ্কার লাগছে কেন বলুন তো?’

আরও পড়ুন-মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বুকে এঁকে ভোট প্রচার তৃণমূল কর্মীর

শ্যামলাল কিছুক্ষণ তাকিয়ে মাথা চুলকে ‘না’সূচক মাথা নাড়ে। কিছুক্ষণ পরে আমরা গভীর জঙ্গলে প্রবেশ করি। চারিদিকে সবুজ, অজানা গাছগাছালি, ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক আর পাতা-গুল্মের বুনো গন্ধে পরিবেশ ম-ম করছে। তোর্সা নদীর পাড়ে এসেই আমি আনন্দে আত্মহারা। এই দৃশ্যমান চিত্রপট ক্যামেরাবন্দি করতে তৎপর হয়ে উঠলাম। হরিণশাবক গন্ডারশাবকের সাথে নাচানাচি করছে নদীর পাড় জুড়ে। তাদের মা ঘাসে ঢাকা জলাভূমিতে দাঁড়িয়ে অলস চোখে শাবকদের নিরীক্ষণ করছে। ফটো তোলার নেশায় মেতে উঠলাম। জলদাপাড়া দীর্ঘদিন যাবৎ গন্ডারের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। কাজের সঠিক পরিবেশ পেলে মন আপসেই সব ভুলে কাজের গতিতে হারিয়ে যায়। সময়ের জ্ঞান থাকে না। সারাদিন বন্যপ্রাণীর ফটো তুলে যখন বাংলোতে ফিরলাম তখন সূর্য পশ্চিমে পাড়ি দিয়েছে। বাংলোতে ফিরে স্নানাহার শেষে আজ আর ব্যালকনিতে বসলাম না। ক্লান্তিতে পা যেন ভেঙে আসছিল। তাই বিছানা নিতেই তন্দ্রা এসে যায়। বহুক্ষণ বাদে অদ্ভুত একটা ক্রমবর্ধমান শব্দে তন্দ্রা কাটে। বিছানা থেকে নেমেই ঘুম চোখে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াতেই শুনতে পেলাম ফোঁপানো কান্নার আওয়াজ, যেন দু’গজ দূর থেকে আসছে। কৌতূহল নিবারণে আমি ঝটপট জ্যাকেট পরে টর্চ হাতে বেরিয়ে পড়লাম। বাংলো থেকে বেরিয়ে একরাশ অন্ধকার ঘিরে ধরল আমায়। গতকালও বাংলোর সামনে একটা খুঁটিতে একটা কম পাওয়ারের বাল্ব জ্বলছিল। আজ সেটাও জ্বলছে না। গেট থেকে বেরিয়ে ডানদিকে হাঁটা শুরু করলাম। কুয়াশা ভেদ করে যতই এগিয়ে চলেছি ততই যেন মনে হচ্ছে দু’গজ দূর থেকে আওয়াজ আসছে। অবশেষে ওই শিরীষগাছের কাছে গিয়ে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। টর্চের আলোয় দেখতে পেলাম, এতরাতে ঘন জঙ্গলে একজন যুবতী গাছের তলায় বসে মাথা নিচু করে ফুঁপিয়ে কাঁদছে। পরনে লাল-হলুদ জংলাছাপের শাড়ি। তার পাশেই একটি রক্তমাখা কুঠার পড়ে আছে। আমার পায়ের শব্দে সে মাথা তুলে তাকাল। কুড়ি-বাইশ বছরের দোহারা গড়ন মেয়েটির। কালো মুখমণ্ডলে এক অসামান্য দ্যুতি ছড়িয়ে আছে। এক পলক দেখলেই আকর্ষণ অনুভব হয়। কিন্তু কালো হরিণীর মতো চোখ দু’খানি জলে ভেজা। আমাকে দেখামাত্রই তার চোখ দুটো ধক করে জ্বলে উঠল। ওই দৃশ্য দেখে ভয়ে আমার হৃৎস্পন্দনের গতি দ্রুত হয়ে ওঠে, গলা শুকিয়ে কাঠ। আমি একমুহূর্ত দাঁড়িয়ে না থেকে ভয়ে বাংলোর দিকে দৌড় লাগাই। ঘরে ঢুকেও ভয় কাটাতে পারছিলাম না, বিছানায় চোখ বন্ধ করে চুপ করে শুয়ে থাকলাম।
পরের দিন ফরেস্ট অফিসারকে সব কথা জানাই। তিনি সব শুনে বললেন, এই ঘন জঙ্গলে কোনও মহিলা থাকতেই পারে না, তবে শুনেছি যে এই বাংলোর কেয়ারটেকার তাঁর যুবতী স্ত্রীকে নিয়ে থাকত। মাস ছয়েক আগে ওঁর স্ত্রী নিখোঁজ হয়ে যায়। থানায় ডায়েরি করেছিল কিন্তু কোনও খবর নেই। বন্যজন্তু টেনে নিয়ে গেছে কিনা সেই ভাবনাতে আমিও জঙ্গল সার্চ করিয়েছিলাম। কিন্তু কোনও চিহ্ন খুঁজে পাইনি। বন্যপশু টেনে নিয়ে গেলে জামাকাপড় চটি রক্ত কিছু না কিছু পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কিছু্ই পাইনি। শম্ভু বুড়ো হয়ে গেছে। বউ যুবতী। রোজই বউয়ের সাথে মনোমালিন্য হত শুনেছি। তাই মনে হয় রাগারাগি করে শম্ভুকে ছেড়ে পালিয়েছে। শম্ভু এটা স্বীকার করে না।

আরও পড়ুন-সিডনিতে যুবকের হামলা, ছুরির কোপ-গুলিবৃষ্টিতে মৃত একাধিক!

আমি সব শুনে ফরেস্ট অফিসারকে অনুরোধ করি সেই গাছতলায় যেতে। আমার কথায় ফরেস্ট অফিসার সেখানে গেলে তাঁরও গাছতলা পরিষ্কার দেখে বেশ সন্দেহ হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দিয়ে নিজের কয়েকজন বনকর্মীকে দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করেন। বেশ খানিকটা খোঁড়ার পর পচা দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করে। আর কিছুটা খোঁড়ার পর একটি বস্তাবন্দি কঙ্কাল উদ্ধার হয়, কঙ্কালের পরনে তখনও ছেঁড়াপচা লাল-হলুদ জংলাছাপের শাড়ি অবশিষ্ট ছিল। বস্তার ভিতরে একটি মরচেপড়া কুঠারও উদ্ধার হয়। ততক্ষণে পুলিশ এসে গেছে, পুলিশ কেয়ারটেকার শম্ভুকে জেরা করায় সে ভয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে, সত্য প্রকাশ হয়। ‘স্যার, কঙ্কালটি আমার স্ত্রী রূপাইয়ের। আমিই রূপাইকে খুন করে এখানে পুঁতে দিয়েছিলাম। রূপাইয়ের চালচলন ঠিক ছিল না। বাংলোতে কোনও ছেলেছোকরা বেড়াতে এলেই দেখতাম রূপাই তাদের সাথে আলাপ জমাত। আমাকে বুড়ো দেখেই রূপাই বিয়ে করেছিল। কিন্তু পরে আমার সম্মানের কদর করতে চাইত না। সারাদিন সাজগোজ করে গেস্ট বাবুদের পিছনে ঘুরঘুর করত। আমি ওকে অনেক বারণ করতাম, ও শুনত না। ছয় মাস আগে একদিন সন্ধেবেলায় বাংলোয় আসা গেস্টবাবুর সাথে রূপাইকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেছিলাম। আমার মাথায় তখন রক্ত চড়ে গিয়েছিল। পরের দিন ছিল পনেরোই অগাস্ট। অতিথি চলে যেতেই রাগের মাথায় রূপাইকে কুঠার দিয়ে হত্যা করে শিরীষগাছের তলায় পুঁতে দিয়েছিলাম। এতদিন আমি সত্য গোপন করেছি। কিন্তু বিশ্বাস করুন স্যার আমি আর গোপন করতে পারছিলাম না। আমাকে যা শাস্তি দেবার দিন স্যার। আমি এই মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না। একটা মেয়েছেলের গায়ে আমি শুধু হাত তুলিনি, তাকে খুন করেছি, অনেক পাপ করেছি।
গত ছ’মাস ধরে অতৃপ্ত আত্মার নিদারুণ করুণ কান্নার রহস্য উন্মোচিত হল বাংলোর অনাহূত অতিথির হাত ধরে! কিন্তু আমিই কেন? এই ছ’মাসে অনেক টুরিস্ট এই বাংলো থেকে ঘুরে গেছে। মনের সাথে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায় আমার। আজ দুপুরেই আমার বাংলো থেকে রওনা হয়ে যাবার কথা। শম্ভুকে অ্যারেস্ট করে থানায় নিয়ে চলে গেলে ফরেস্ট অফিসার প্রশান্ত গুরুং নামে এক নেপালি বনকর্মীকে আমার দুপুরের লাঞ্চের ব্যবস্থা করার জন্য রেখে গেলেন। দুপুরের লাঞ্চ সেরে রেডি হয়ে রেজিস্টারে সাইন করে জিপে উঠব, ঠিক তখনই মনে হল অফিস রুমে গিয়ে আরেকবার রেজিস্টারটা চেক করে দেখি তো পনেরোই অগাস্ট কারা এসেছিল। আমি প্রশান্তকে বললাম, ‘রেজিস্টারে আমি চেক-আউট টাইমটা লিখতে ভুলে গেছি। একটু রেজিস্টারটা এনে দেবেন?’

আরও পড়ুন-যুদ্ধবিরতির আলোচনার মাঝেই খতম হামাস শীর্ষনেতার তিন পুত্র, ইজরায়েলকে পাল্টা হুঁশিয়ারি

প্রশান্ত মাথা চুলকে হাতের ঘড়িটা দেখে বলল, ‘স্যার, হাতে এখনও সময় আছে, আমি গাড়ির মোবিল চেক করে নিই। আপনি বরং অফিসে চলে যান, রেজিস্টারটা এখনও টেবিলে পড়ে আছে, লিখে আসুন।’
আমি দ্বিমত না করে দৌড়ে গিয়ে রেজিস্টারের পাতা উল্টে দেখি রেজিস্টারে পনেরোই অগাস্টে দেবোপমের স্বাক্ষর রয়েছে। দেবোপমই ছ’মাস আগে তিনজন বন্ধুর সাথে এখানে ট্রেকিংয়ে এসেছিল। কিন্তু ওর বন্ধুরা চোদ্দো তারিখ সকালে চেক আউট করে চলে যায়। দেবোপম পরের দিন চেক আউট করে। আমার চোখে সত্যটা সম্পূর্ণরূপে ধরা দিল। আমিই কেন? মাঝেমাঝে প্রকৃতি আমাদের বাধ্য করে না-বলা কিছু কথা আমরা যেন নিজের তাগিদে খুঁজে নিই। সত্য কখনও চাপা থাকে না। একদিন না একদিন তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
অঙ্কন : শংকর বসাক

Latest article