নৌকো দিয়ে জাহাজকে ঘেরাও

খবর পেয়ে দুপুরে সাগরের এসডিপিও দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান। জাহাজের নাবিক ও বিক্ষোভরত মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন।

Must read

সুস্মিতা মণ্ডল, কাকদ্বীপ:‌ বুধবার কাকভোরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরের ঘোড়ামারা দ্বীপের পাশ দিয়ে একটি বাংলাদেশি জাহাজ হলদিয়া যাচ্ছিল। হুগলি নদীতে প্রতিদিনের মতো মাছ ধরার জন্য জাল পেতেছিলেন বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবী। জাহাজের চালক জলের মধ্যে থাকা জাল ঠাওর করতে পারেননি। জাহাজের পাখায় আটকে যায় মাছধরার জাল। ফালা ফালা হয়ে যায় জালটি। ভোর রাতে এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন মৎস্যজীবীরা।

আরও পড়ুন-কাতার বিশ্বকাপের বল ‘আল রিহলা’

সেইসময় নদীতে থাকা অন্তত পাঁচটি মাছধরার নৌকা ঘিরে ধরে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি সি প্রাইডকে। জালের ক্ষতিপূরণের দাবিতে নদীতে নৌকা দিয়ে জাহাজ ঘিরে চলে প্রতিবাদ। সকাল হতেই বিষয়টি কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট, কাকদ্বীপের মহকুমা শাসক, জেলা মৎস্য আধিকারিক (‌সামুদ্রিক)‌ ও পুলিশের নজরে আনা হয়। এই অবস্থায় জাহাজটি নদীতে আটকে আছে।

আরও পড়ুন-চোখের জলে শেষ বিদায় ওয়ার্নিকে

খবর পেয়ে দুপুরে সাগরের এসডিপিও দেবাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান। জাহাজের নাবিক ও বিক্ষোভরত মৎস্যজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। জাহাজ কর্তৃপক্ষ মৎস্যজীবীদের ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হওয়ায় বিক্ষোভ উঠেছে। ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্যজীবী পুলক দাস জানান, আমার নৌকার নাম এফবি মা মালতী। আমার একটি বিন্দি জাল পুরোপুরি নষ্ট করে দেয়। যার বাজারমূল্য ৬৫ হাজার টাকা। বিক্ষোভ দেখানো ছাড়া কোনও উপায় ছিল না। ‌

Latest article