দুর্গাপুজোয় আদিবাসীদের ভুয়াং নাচ এখন বিলীন

গানের সঙ্গে ওই ধনুকের ছিলায় আঙুল দিয়ে টানলে যে আওয়াজ হয় সেটাই আরও মধুর শব্দে জোরে প্রতিধ্বনি হয়ে বেরিয়ে আসে।

Must read

সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম : শারদোৎসব থেকে হারিয়ে যাচ্ছে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের চিরাচরিত ভুয়াং নাচ। আগে দুর্গাপুজোর সময় দেখা যেত আদিবাসীদের ভুয়াং নাচ। ভুয়াং যন্ত্র নিয়ে বাঁশি, কাঁসার থালা বাজিয়ে সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর মানুষদের সেই নাচ আর দেখা যায় না। সাঁওতাল জনগোষ্ঠীর পুরুষরা মেয়ে সেজে এই নাচে অংশ নিতেন।

আরও পড়ুন-পাঁচ দশক ধরে জ্যোতিভূষণের হাতেই পুজো নেন দেবী

এক সময় দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী থেকে দশমীর মধ্যে এঁদের ভুয়াং যন্ত্র, ঘণ্টা, কাঁসার থালা, বাঁশি, কেঁন্দরী ইত্যাদি বাদ্যযন্ত্র নিয়ে শহর এলাকায়ও দেখা যেত। পুজোর সময় দেখা যেত ঝাড়গ্রাম শহরসহ বিভিন্ন জায়গায়। পুরুষরা মহিলা সেজে মাথার পাগড়িতে ময়ূরের পালক গুঁজে পায়ে ঘুঙুর বেঁধে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেচে, গান গেয়ে ঘুরত। এখন দিন যত এগিয়েছে হারিয়ে গিয়েছে আদিবাসীদের এই নাচ। ভুয়াং যন্ত্র শুকনো লম্বা লাউয়ের খোলা দিয়ে তৈরি। এই লাউয়ের খোলার সঙ্গে একটা ধনুকের মতো কাঠামো লাগিয়ে সাঁওতাল কারিগররা তৈরি করেন।

আরও পড়ুন-দুর্গোৎসবে মানুষের পাশে তৃণমূল, নেই বিজেপি

গানের সঙ্গে ওই ধনুকের ছিলায় আঙুল দিয়ে টানলে যে আওয়াজ হয় সেটাই আরও মধুর শব্দে জোরে প্রতিধ্বনি হয়ে বেরিয়ে আসে। অনেকটা তানপুরার ক্ষুদ্র সংস্করণ বলা যায়। আদিবাসী সমাজের চিন্তাবিদ ও সংস্কৃতি সচেতন মানুষ মনোজ মান্ডি বলেন, এখন দুর্গাপুজোর সময় কোনও কোনও গ্রামে এই নাচ দেখা যায়। তবে আগের তুলনায় অনেক কম। হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি এই সংস্কৃতিকে ধরে রাখার জন্য।

Latest article