সংগঠনকে আরও সুসংহত করার ডাক কোর কমিটির

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জন্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করে দেওয়া তৃণমূল কোর কমিটির প্রথম বর্ধিত সভার বৈঠক হল তিতুমির সভাকক্ষে।

Must read

সংবাদদাতা, বারাসত : লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে সংগঠনকে আরও সুসংহত করার পাশাপাশি জনসংযোগকেও আরও নিবিড় করার উদ্যোগ নিচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল। বৃহস্পতিবার জেলার কোর কমিটির বৈঠকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জন্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করে দেওয়া তৃণমূল কোর কমিটির প্রথম বর্ধিত সভার বৈঠক হল তিতুমির সভাকক্ষে। বিধানসভার প্রথম বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে রুদ্ধদ্বার বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ, উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায়, সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী-সহ বিধায়করা।

আরও পড়ুন-শহরের নিরাপত্তায় এবার পুলিশের হাজার ক্যামেরা

২০২৪-এর লোকসভা ও ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে দলীয় সংগঠনকে আরও জোরদার করে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও প্রস্তাব গৃহীত হয়। আগামী দিনে কোর কমিটির বর্ধিত সভাতে সকলের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করার আবেদন জানানো হয়। সভা শুরু করেন বর্ষীয়ান বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। একে একে সকলেই বক্তব্য রাখেন। শোনা হয় বিধায়কদের সুবিধা-অসুবিধার কথা। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য প্রস্তার রাখেন মহিলা তৃণমূল কর্মীদের আরও বেশি করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করানোর বিষয়ে।
ব্রাত্য বসু জাতীয় রাজনীতির পর্যালোচনা, ৫ রাজ্যের ভোটের ফলাফল ও বিজেপির ধ্বংসাত্মক রাজনীতির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আগামী দিনে বিধায়কদের কী ধরনের কাজ করতে হবে তার দিশা দেখান।

আরও পড়ুন-বিপ.জ্জনক জল ট্যাঙ্কের নিচ দিয়ে চলছে অবাধ যাতায়াত

রথীন ঘোষ পরিসংখ্যান তুলে ধরে আগামী দিনে কী করণীয় তার ব্যাখ্যা করেন। নারায়ণ গোস্বামী জেলার বিভিন্ন জায়গার নাম ধরে সেখানের সমস্যা ও তা সমাধানের জন্য কোর কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ নজর দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সভা শেষে তাপস রায় সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, দলনেত্রীর নির্দেশে এই কোর কমিটি কাজ করছে। বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের অনুপস্থিতিতে দলনেত্রীর নির্দেশে সকলে মিলে কাজ করে দলীয় সংগঠনের শক্তিবৃদ্ধির জন্য এই আলোচনা। পাশাপাশি হাবড়া বিধানসভা এলাকার জন্য কমিটি তৈরি করে বিশেষ নজর দেওয়া হবে। দলীয় কর্মসূচি করার ক্ষেত্রে সাংগঠনিক জেলা সভাপতিদের অনুমতি নিতে হবে বলেও কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান তাপস রায়। সভায় একযোগে সকলেই সহমত হন আমিত্ব ভুলে দলকে প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়ে।

Latest article