প্রতিবেদন : চলতি বছরে রাজ্য সরকার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে ২৮ কোটি টাকা দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাপ্য ৩০ কোটি টাকা এখনও মেটাচ্ছে না। স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর সাফ কথা, পর্যাপ্ত অর্থ দিচ্ছে রাজ্য। আসল সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে কেন্দ্রের অসহযোগিতার জন্য। প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছে রাজ্য তথা দেশের প্রথম সারিতে থাকা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিদিনের খরচ চালাতে নাকি নাজেহাল হতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে।
আরও পড়ুন-অভিযোগ পেয়েই সরেজমিনে মেয়র
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনীদের কাছে অর্থসাহায্য চেয়ে চিঠি লিখেছেন উপাচার্য। মঙ্গলবার এ ব্যাপারে মুখ খুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। সেই সঙ্গে সত্যিটা সামনে আনলেন তিনি। মঙ্গলবার ব্রাত্য বলেন, রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত অর্থই দিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না বলেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে তিনি দাবি করেন, চলতি বছরে রাজ্য সরকার ২৮ কোটি টাকা দিয়েছে শুধুমাত্র যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে। রাজ্য সরকারের সাহায্য ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত পঠন-পাঠন ও গবেষণার কাজ চালানো সম্ভব হত না। কেন্দ্রকে নিশানা করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, তাদের কাছ থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এখনও ৩০ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। যা মেটানো হচ্ছে না বলেই অভিযোগ করেন ব্রাত্য বসু।
আরও পড়ুন-উপনির্বাচনের আগে বিজেপি প্রার্থীকে নোটিশ কমিশনের
তিনি আরও অভিযোগ করেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘ইনস্টিটিউট ফর এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে কোনও সাড়া না মেলায় সেই পরিকল্পনা এখনও ঝুলে রয়েছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় টাকা চেয়ে রাজ্য একাধিক চিঠিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে কোনও উত্তর মেলেনি। ব্রাত্যর অভিযোগ, শুধু যাদবপুরই নয়, রাজ্যের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিরও পাওনা মেটাচ্ছে না কেন্দ্র। ফলে রাজ্যের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই কমবেশি সমস্যার মধ্যে রয়েছে।