পুরুলিয়া পর্যটনে নতুন দিগন্ত খুলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

দেশের পর্যটন মানচিত্রে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনক্ষেত্রকে তুলে আনতে সরকার গুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছে। প্রতিটি জেলাতেই রয়েছে অসংখ্য পর্যটনস্থল

Must read

সঞ্জিত গোস্বামী, পুরুলিয়া: পাকদণ্ডী পথ ধরে অযোধ্যা পাহাড়ে রোমাঞ্চকর ভ্রমণ, লোকশিল্পের সঙ্গে পরিচিতি, আদিবাসী গ্রামে রাত্রিবাস কিংবা দোলের মরশুমে পলাশের আবিরে হারিয়ে যাওয়া, পুরুলিয়া পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করতে একগুচ্ছ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়ার হুটমুড়া ময়দানে আয়োজিত পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে তিনি উদ্বোধন করলেন বেশ কয়েকটি পর্যটন পরিকাঠামোর। উপকৃত হবেন কয়েকহাজার মানুষ।

আরও পড়ুন-সিবিআইকে ফের ভর্ৎসনা আদালতের

এদিন পরিষ্কার বোঝা যায় মুখ্যমন্ত্রী কর্মসংস্থান ও উন্নয়নকে সামনে রেখেই কাজ করে চলেছেন। একদিকে যেমন রঘুনাথপুর মহকুমা এলাকার চারটি ব্লক ঘিরে গড়ে উঠছে জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী, অন্যদিকে তেমনই অযোধ্যা পাহাড়, জয়চণ্ডীপাহাড়, গড় পঞ্চকোট, বান্দোয়ান, মানবাজার ১ নং ও ২ নং ব্লক ঘিরে ক্রমশ বিস্তারলাভ করছে পর্যটনশিল্প। এদিন পর্যটনের একগুচ্ছ প্রকল্প উদ্বোধন করে তিনি বুঝিয়ে দেন, পর্যটন ঘিরেও পুরুলিয়ায় কয়েকহাজার পরিবারের কর্মসংস্থান করবেন তিনি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকার একগুচ্ছ পর্যটন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। বাঘমুন্ডিতে চালু হল ৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত একটি ট্যুরিজম কিয়স্ক। যেখান থেকে পর্যটকরা পুরুলিয়ার বিভিন্ন হস্তশিল্প কিনতে পারবেন। মানবাজার ২ নং ব্লক দুর্গাডিতে গড়ে ওঠা ৫৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ইকো ট্যুরিজম সাইটটিও এদিন চালু করেন তিনি। অযোধ্যা পাহাড়ের খয়রাবেড়া ইকো ট্যুরিজমের ফেজ টু প্রকল্প গড়া হয়েছে ২ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকায়।

আরও পড়ুন-নিয়োগে নতুন নিয়ম আনছে এসএসসি

উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিতুড়িয়ায় দামোদর নদের তীরে ৭৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে গড়া রিভারসাইড পার্ক, ২০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত অযোধ্যা পাহাড়ের কুমারী কাননে একটি পর্যটন আবাসেরও উদ্বোধন করেন তিনি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কতজন মানুষ উপকৃত হতে পারেন তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কর্মসংস্থানই এখন রাজ্যের পাখির চোখ।
দেশের পর্যটন মানচিত্রে রাজ্যের বিভিন্ন পর্যটনক্ষেত্রকে তুলে আনতে সরকার গুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছে। প্রতিটি জেলাতেই রয়েছে অসংখ্য পর্যটনস্থল। তবে দক্ষিণবঙ্গে পুরুলিয়ার মতো প্রাকৃতিক বৈচিত্র কমই আছে। তাই মুখ্যমন্ত্রী পুরুলিয়ার নাম দিয়েছেন রূপসী বাংলা। এই রূপবতী পাহাড় অরণ্যকে ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখেন তিনি। তাই বলেন, আদিবাসী ভাইবোনদের অধিকার রক্ষার পাশাপাশি এলাকায় আরও নতুন নতুন পর্যটন ক্ষেত্র গড়ে তোলা হবে।

Latest article