নির্যাতিতার সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে হাসপাতালের মেঝেয় রাত কাটালেন কমিশন-কর্ত্রী

বন্ধুর ১৪ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণে অভিযোগ উঠেছে দিল্লির নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের আধিকারিক প্রেমদয় খাকার বিরুদ্ধে ।

Must read

প্রতিবেদন : হাসপাতালে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন দিল্লি পুলিশ। এমনকী তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হলেন দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল। শুধু তাই নয়, নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে না দেওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে রাত কাটালেন স্বাতী। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি। আর এই ঘটনায় দিল্লি প্রশাসনে আপ বনাম বিজেপির দ্বন্দ্ব আবার স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন-স্বাধিকার কমিটির তলব ঘিরে বিতর্ক

ঘটনা প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিল্লির মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল বলেন, দিল্লি পুলিশ গুন্ডাগিরিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। তারা নির্যাতিতা এবং তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না। শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকেও তো নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বুঝতে পারছি না, দিল্লি পুলিশ আমার কাছ থেকে কী লুকোতে চাইছে? এরপরই মালিওয়াল প্রশ্ন তোলেন, শিশু সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সনকে যদি দেখা করতে দেওয়া হয়, তা হলে তাঁকে কেন বাধা দেওয়া হচ্ছে? জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর থেকে হাসপাতালে ঠায় অপেক্ষা করছেন স্বাতী। তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না নির্যাতিতা ও তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারছেন ততক্ষণ হাসপাতাল থেকে এক পাও নড়বেন না। একইসঙ্গে জানান, নির্যতিতাকে সবরকমভাবে সাহায্য করা হচ্ছে কি না আমি জানতে চাই। ওর চিকিৎসা ঠিক মতো হচ্ছে কি না, তা-ও জানতে হবে।

আরও পড়ুন-ব্রিকস সম্প্রসারণে চিন সক্রিয়, সতর্ক ভারতও

বন্ধুর ১৪ বছর বয়সি মেয়েকে ধর্ষণে অভিযোগ উঠেছে দিল্লির নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগের আধিকারিক প্রেমদয় খাকার বিরুদ্ধে । ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ১৪ বছরের নাবালিকাকে বহুবার ধর্ষণ করে অভিযুক্ত ওই আধিকারিক। এর জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। এই ঘটনার পর মেয়েটিকে জোর করে গর্ভনিরোধক ওষুধ খাওয়ান আধিকারিকের স্ত্রী। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হুমকি দেওয়া হয়। পরে নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে আধিকারিক এবং তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নির্দেশে ওই সরকারি আধিকারিককে তাঁর পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এই ঘটনায় বিষয় জানাজানি হওয়ার পর গ্রেফতারি এড়াতে পালানোর চেষ্টা করেছিল ওই আধিকারিক ও তার স্ত্রী। যদিও শেষরক্ষা হয়নি। তবে গোটা ঘটনায় দিল্লি পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকা সামনে এসেছে। লেগেছে রাজনীতির রং।

Latest article