মিতা নন্দী, ঝাড়গ্রাম : দোলের আগে শাল-মহুয়ার পর্যটনের শহর ঝাড়গ্রামে (Jhargram) পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। পর্যটকদের আকর্ষণ করছে নতুন করে সাজানো বাংলার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন কেন্দ্র ঝিল্লি পাখিরালয়, দেউলবাড় গ্রামের কাছে রামেশ্বর মন্দির, হাতিবাড়ি, বিরল প্রজাতির গাছ গাছালিতে ঘেরা চিল্কিগড় কনকদূর্গা মন্দির, ঝাড়গ্রাম রাজ বাড়ি, জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক, বেলপাহাড়ির ঘাগরা জলপ্রপাত, পাহাড় ঘেরা খান্দারানি লেকের মতো পর্যটন কেন্দ্রগুলি। তাই রংয়ের উৎসবে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের উদ্যোগে বিদ্যুৎ সংযোগ হয়েছে ঝাড়খণ্ড আর ওড়িশা রাজ্যের সীমান্তে অবস্থিত এরাজ্যের আকর্ষণীয় পর্যটনকেন্দ্র ঝিল্লি পাখিরালয়ে। বৈদ্যুতিক আলো দিয়ে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে সীমান্ত বাংলার এই পর্যটন কেন্দ্রটিকে। বাংলার সীমান্তে ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ড রাজ্যের লাগোয়া জঙ্গলঘেরা এই জায়গা হওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগের ক্ষেত্রেও সমস্যা ছিল। তাই প্রথমে ভরসা ছিল লন্ঠনের আলো। রাজ্যে বর্তমান সরকার আসার পর সৌরবিদ্যুতের আলো হয়। কিন্তু তাই দিয়ে অভাব মেটে না। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গোপীবল্লভপুর ১ নম্বর ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে সবুজ কার্পেটে ঘেরা ঝিল্লি পখিরালয়কে কয়েক বছর আগে থেকেই সাজিয়ে তোলার তোড়জোড় চলে। ঝিল্লিতে শাল, সেগুন, অর্জুন, কেঁন্দ, সোনাঝুরির নিরেট সবুজে মোড়া প্রায় দেড়শো বিঘে লেকের টলটলে জলে খেলে বেড়ানো পরিযায়ী পাখির টানে সারা দেশ থেকেই পর্যটকরা ছুটে আসেন। পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশের কাঁচারাস্তাটা আগেই পিচঢালা হয়েছে। গোপীবল্লভপুর থেকে হাতিবাড়ি যাওয়ার পথে দহমুন্ডা চক থেকে বাঁদিকে সাত কিলোমিটার জঙ্গলঘেরা কাঁচারাস্তা পেরোলেই মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছানো যায়। ঝিল্লি পখিরালয়ের প্রবেশ পথে সুন্দর গেট হয়েছে। দহমুন্ডা চক থেকে ঝিল্লি লেক পর্যন্ত কাঁচারাস্তাকে পিচঢালা করা হয়েছে। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে সাবমার্শিবল পাম্প বসেছে। লেকের জল সংলগ্ন ঝিল্লি পার্ক চত্বরকে রঙিন পাথর দিয়ে বাঁধানো হয়েছে। জঙ্গল আর টিলা ঘেরা সুবর্ণরেখার তীরে এই পর্যটনকেন্দ্রে থাকার জন্য যুব আবাস, বনবাংলো রয়েছে। ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলা হোটেল ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাজকুমার আচার্য বলেন, ‘দোলের জন্য এবার পর্যটকদের ভাল রকম ভিড় রয়েছে। ১৭ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড়টা বেশি।’
আরও পড়ুন-দোলে রেকর্ড ভিড় দিঘায়