বাংলার উন্নয়নে চলছে কেন্দ্রের বঞ্চনা, পাশে দাঁড়াল বিশ্বব্যাঙ্ক

গত ১২ অক্টোবর রাজ্য সেচ দফতরের কর্তারা আমতায় আসেন। ডিভিসি ১ লক্ষ ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার পরবর্তী পরিস্থিতি তাঁরা খতিয়ে দেখেন।

Must read

প্রতিবেদন : ভোটে হেরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বাংলার মানুষের হকের টাকা দেওয়া বন্ধ করেছে বিজেপি সরকার। এর বিরুদ্ধে চলছে তীব্র প্রতিবাদ আন্দোলন কর্মসূচি। উৎসব পর্ব মিটলে যা আরও জোরালো হবে। এরই মধ্যে কেন্দ্র পাশে না দাঁড়ালেও বাংলার মানুষের কল্যাণে পাশে দাঁড়াল বিশ্বব্যাঙ্ক।

আরও পড়ুন-গাজায় ১০ মিনিটে এক শিশুর মৃত্যু, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

পাঁচটি জেলায় সেচের উন্নয়ন ও ভাঙন রোধে আর্থিক ভাবে এগিয়ে এসেছে তারা। জানা গিয়েছে, হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের ৫টি জেলায় সেচের উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের জন্য রাজ্য সরকার বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে আরও ১ হাজার কোটি টাকা চেয়ে আবেদন জানিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রথম পর্যায়ে বিশ্বব্যাঙ্কের দেওয়া ৩ হাজার কোটি টাকায় ওই জেলায় সেচ উন্নয়ন ও বন্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। যা ২০২৫ সালে শেষ হবে বলে সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে টাকা চেয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের এই টাকা পাওয়া গেলে রূপনারায়ণ এবং দ্বারকেশ্বর নদ সংস্কার করা হবে। যার ফলে হাওড়া ও হুগলি জেলার মানুষ প্লাবনের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পাবেন। একই সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমা এলাকার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতিও হবে। ওই সব জেলায় গ্রীষ্মকালীন চাষের জন্য জলসংকটও অনেকটা মিটবে।

আরও পড়ুন-আইসল্যান্ডে ১৪ ঘণ্টায় ৮০০ ভূমিকম্প! জরুরি অবস্থা জারি

গত মাসের গোড়ায় নিম্নচাপের বৃষ্টি এবং ডিভিসি’র ছাড়া জলে প্লাবিত হয়েছিল হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ব্লকের ৫টি, আমতা-২ ব্লকের ৫টি এবং হুগলির খানাকুলের ৩টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। তবে কোথাও বাঁধ ভাঙেনি। বাঁধ উপচে জল ঢুকেছিল। রূপনারায়ণ ভরা থাকায় সেই জল সহজে নামেনি। ডিভিসি’র ছাড়া জলের একটি অংশ দামোদর হয়ে এসে আমতা-২ ব্লকের থলিয়ায় দামোদর থেকে কাটা খালের মাধ্যমে বাগনানের বাকসিতে রূপনারায়ণে পড়ে। ডিভিসি’র ছাড়া জলের আরও একটি অংশ মুণ্ডেশ্বরী হয়ে বাগনান-১ ব্লকেরই মানকুরে এসে রূপনারায়ণে পড়ে। এত জলের চাপ রূপনারায়ণ নিতে পারে না। ফলে আমতা-২ ব্লকের ‘দ্বীপ এলাকা’ বলে পরিচিত ঘোড়াবেড়িয়া-চিনান এবং ভাটোরা— এই দুই পঞ্চায়েত প্লাবিত হয়। কারণ, এই দুই পঞ্চায়েত এলাকা মুণ্ডেশ্বরী ও রূপনারায়ণে ঘেরা। সেখানে কোনও নদীবাঁধ নেই। জল বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে জমিতে ধস নামে। প্রচুর কৃষিজমি নষ্ট হয়। শুধু তাই নয়, রূপনারায়ণের জল বেড়ে গেলে বাগনান ১ ও ২ ব্লকের কিছু এলাকাতেও বন্যার আশঙ্কা দেখা দেয়। এই সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে বিশ্বব্যাঙ্কের টাকাতে দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হলে। গত ১২ অক্টোবর রাজ্য সেচ দফতরের কর্তারা আমতায় আসেন। ডিভিসি ১ লক্ষ ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার পরবর্তী পরিস্থিতি তাঁরা খতিয়ে দেখেন।

আরও পড়ুন-মণ্ডপ-প্রতিমা থেকে আলোকসজ্জা বারাসতের কালীপুজোয় জোর টক্কর

সে সময়েই আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল তাঁদের কাছে ঘোড়াবেড়িয়া-চিনান এবং ভাটোরা পঞ্চায়েতের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম পর্যায়ে যে ৩ হাজার কোটি টাকার কাজ হচ্ছে, সেই প্রকল্পে হাওড়া-হুগলির কিছু এলাকা বাদ পড়েছে। বাদ পড়া এলাকার মধ্যেই আছে ঘোড়াবেড়িয়া-চিনান ও ভাটোরা। সেই কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বর সংস্কারের জন্য আরও ১ হাজার কোটি টাকা চেয়ে কেন্দ্রের মাধ্যমে বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে।

Latest article