জলাশয়ের নামে কেন্দ্রের আর্থিক বোঝা রাজ্যের কাঁধে

এবার আবার কোনওরকম অর্থ বরাদ্দ না করেই নতুন প্রকল্পের বোঝা রাজ্যের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির সরকার।

Must read

প্রতিবেদন : কেন্দ্রের নানা প্রকল্পে ইতিমধ্যেই বঞ্চনার শিকার রাজ্য। এবার আবার কোনওরকম অর্থ বরাদ্দ না করেই নতুন প্রকল্পের বোঝা রাজ্যের উপর চাপিয়ে দিতে চাইছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৭৫টি জলাশয় বা ‘অমৃত সরোবর’ খননের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। এর জন্য দ্রুত জেলাভিত্তিক পরিকল্পনা রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। একশো দিনের কাজ, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ থেকে জলাশয় খননের অর্থ খরচ করা যাবে বলে জলসম্পদ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন-ভাতে মারছে কেন্দ্রীয় সরকার

ইতিমধ্যেই প্রতিটি জেলায় এনিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে। প্রতিটি পুকুরের আয়তন প্রায় এক একর হতে হবে। ২০২৩ সালের ১৫ অগাস্টের মধ্যে ওই কাজ শেষ করতে হবে। জল ধরো জল ভরো প্রকল্পে গত এক দশকে সাড়ে তিন লক্ষ্য জলাশয় খনন করে ইতিমধ্যেই গোটা দেশে নজির তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত বিলম্বে বোধদয় বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস ভুঁইঞা বলেন, “জেলায় ৭৫টা জলাশয় খনন কোনও বড় কথা নয়।

আরও পড়ুন-দলের বিরোধিতায় এবার বিরোধী নেতা

২০১৩ সাল থেকে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে রাজ্যে সাড়ে তিন লক্ষ পুকুর খনন হয়েছে। যা দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি। এছাড়াও জলতীর্থ, মাটির সৃষ্টি ও আদমি প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়ার অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী জল সংরক্ষণে বিশেষ নজর দিয়েছেন। যার বহুমুখী সুফল পাচ্ছেন রাজ্যের মানুষ।” স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘আজাদি কা অমৃত মহোৎসব’ পালনের অঙ্গ হিসেবে গোটা দেশে ৫০ হাজার জলাশয় খননের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওই কর্মসূচির নামকরণ করা হয়েছে, মিশন অমৃত সরোবর। নতুন জলাশয় খনন সম্ভব না হলে জলাশয় সংস্কার করতে হবে। যদিও কেন্দ্রে এখনও পর্যন্ত প্রয়োজনীয় অর্থও বরাদ্দ করেনি।

Latest article