কাউন্টডাউন এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। করুণাময়ী এলাকায় কোলাহল শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার দিনক্ষণ যখন সামনে তখন বইপোকাদের মনে আনন্দের শেষ নেই।
আগামী ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এবারের কলকাতা বইমেলা। ৪৬তম আন্তর্জাতিক বইমেলার শেষ দিন ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩। এবারও বইমেলা প্রাঙ্গণ, সেন্ট্রাল পার্কে আয়োজিত হচ্ছে মেলা। এবারের থিম, কান্ট্রি স্পেন। ২০০৬ সালেও এই থিমে বইমেলা আয়োজিত হয়েছিল। ১৭ বছর পর আবার সেই থিম হবে বইমেলায়।
আরও পড়ুন-‘৭ দিনের মধ্যে এখানে জলের ব্যবস্থা করে দিতে বলব’ আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর
৯ম কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল আয়োজিত হবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। সেন্ট্রাল পার্কই যে বইমেলার স্থায়ী ঠিকানা সে কথা আগেরবার সিদ্ধান্ত হয়। ৪৬তম বইমেলা উদ্বোধন করতে চলেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে দিন উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা প্রাঙ্গন।
আরও পড়ুন-আলু কচু দিয়ে ট্যাংরা মাছের ঝোল, জলপথে এলাকা পরিদর্শন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
প্রসঙ্গত ২০২১ সালে করোনার কারণে বইমেলা হয়নি। সংক্রমণের হাত থেক রক্ষা পেতে গত বছর সমস্ত কোভিড-১৯ বিধি মেনে মেলার আয়োজন করা হয়েছিল। এবারের বইমেলায় কয়েকশো বই ও লিটল ম্যাগাজিনের স্টল থাকবে। এছাড়া থাকছে খাওয়াদাওয়া, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন। ফুড কোর্টের ব্যবস্থা করা থাকবে। প্রায় প্রতিদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে মুক্ত মঞ্চে।
আরও পড়ুন-নিশীথের গ্রেফতার চাই, আওয়াজ উঠল সভায়
গত বছর ৩১ জানুয়ারিতেই বইমেলা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিধাননগরে পুরভোটের কারণে প্রায় এক মাস পিছিয়ে যায় মেলা। ত্রিদিববাবু জানান, ২০২২ সালে কলকাতা বইমেলায় বই বিক্রি হয়েছিল ২৩ কোটি টাকার যা বইমেলার ইতিহাসে রেকর্ড বিক্রি। এবারে বইমেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় বারের জন্য এবারে বইমেলার থিম কান্ট্রি হচ্ছে স্পেন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভারতে স্পেনের রাষ্ট্রদূত জোসে মারিয়া রিডাও ডমিংগেজ। এর আগে ২০০৬ সালে থিম কান্ট্রি হয়েছিল স্পেন। সেবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর হয়েছিল স্পেনের। স্পেনের রাষ্ট্রদূত জানান, থিম কান্ট্রি হিসেবে এবার কলকাতা বইমেলায় স্পেনের একটি বিশেষ প্যাভিলিয়ন তৈরি করা হবে। কিন্তু এটি তৈরি হবে সম্পূর্ন ভারতীয় উপকরণ দিয়ে। ত্রিদিববাবু জানান, আগের বার বইমেলায় ৫৭০ টি স্টল ছিল। জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্টলের সংখ্যাও এবারে বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। গতবারের মত এবারও কলকাতা বইমেলার ডিজিটাল পার্টনার সিস্টার নিবেদিতা ইউনিভার্সিটি।
আরও পড়ুন-নদীভাঙন : মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যে সাড়া দিয়ে সর্বদল যাবে দিল্লিতে
স্পেনের রাষ্ট্রদূত যোসে মারিয়া রিদাও দোমিনিগেজ। তিনি এদিন সাংবাদিক বৈঠক বলেন, “আমাদের বিশ্বাস বইমেলায় স্পেনের এই অংশগ্রহণের ফলে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে।”স্পেন ছাড়াও প্রতিবছরের মতো আগামী বইমেলাতেও অংশ নেবে একাধিক দেশ। তালিকায় রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, রাশিয়ার মতো দেশগুলি। এছাড়াও ২০২৩ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ নবম কলকাতা লিটারেচার ফেস্টিভ্যাল।
গত বছরের মতো এবারেও আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলার প্রত্যেক মুহূর্তের ভার্চুয়াল আপডেট তুলে ধরা হবে গিল্ডের ওয়েবসাইট এবং সোশাল মিডিয়ায় প্ল্যাটফর্মগুলিতে।