প্রতিবেদন : মহানগরীর রাস্তা মেরামতির সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল। কাজ শেষ করতে হবে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই। মেরামতি যথাযথ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখতে ২০ সেপ্টেম্বর থেকেই পরিদর্শন শুরু করবেন মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম। পুজোর আগে রাস্তা সারানোর কাজে আরও গতি আনার জন্য আধিকারিক এবং ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য ইতিমধ্যেই একটি জরুরি বৈঠক করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন-পুজোর আগেই প্রস্তুত বনবিভাগের ৩৫ হোটেল
কেএমডিএ, পূর্ত বিভাগ, সেচ দফতর সহ বিভিন্ন দফতরের শীর্ষ আধিকারিকদের কাছে জানতে চেয়েছেন সুবিধে-অসুবিধের কথা। আলোচনা করেছেন পুলিশ এবং বন্দর কর্তাদের সঙ্গেও। সমস্যা দেখা দিলে বাতলে দিয়েছেন সমাধানের পথও। শুধু রাস্তা মেরামতিই নয়, বৃষ্টির জল জমে পুজোর আনন্দটাই যাতে না মাটি করে দেয় তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন পুরসভার নিকাশি বিভাগকে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পুজো উদ্যোক্তারা যাতে সচেতনতা অভিযান চালান তার জন্য তাঁদের অনুরোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র।
আরও পড়ুন-ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের প্রগতির পক্ষে সওয়াল মন্ত্রীর, কর্মসংস্থানের লক্ষ্যেই শিল্প
লক্ষণীয়, কোন কোন রাস্তার কোথায় কোথায় জরুরি ভিত্তিতে মেরামত প্রয়োজন তার একটি তালিকা কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছিল পুরসভাকে। সরেজমিনে পরিদর্শন করে পুরসভার রাস্তা বিভাগের আধিকারিকরাও তৈরি করেন একটি অগ্রাধিকার তালিকা। এরই ভিত্তিতে ১৫০টি জায়গা বিশেষভাবে চিহ্নিত করে মেরামতিতে নেমেছে পুরসভা। চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, ভূপেন বোস অ্যাভিনিউ, রবীন্দ্র সরণি, বিবেকানন্দ রোড, এপিসি রোড, এজেসি বোস রোড, আশুতোষ মুখার্জি রোড, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড, রাসবিহারী অ্যাভিনিউ, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ, গড়িয়াহাট রোড, ডায়মন্ড হারবার রোড এবং এন এস সি বোস রোডে মেরামতির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।
আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নয়া নির্দেশিকা
পুরকর্তারা জানিয়েছেন মাঝে যে ক’দিন বৃষ্টি হয়নি, সেই সময়টা যতটা সম্ভব ভালভাবে ব্যবহার করা সম্ভব হয়েছে। ই এম বাইপাস এবং লাগোয়া এলাকার রাস্তা মেরামতির কাজেও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন কলকাতা পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা। বন্দর এলাকার রাস্তা প্রাথমিকভাবে সারানোর কাজ শুরু হলেও নভেম্বর থেকে চলবে পূর্ণ উদ্যমে সারাইয়ের কাজ। মেয়রকে জানিয়ে দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পুরসভার নিকাশি বিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শহরের মোট ১০টি পাম্পিং স্টেশনের সমস্ত হেভি-ডিউটি পাম্প প্রস্তুত রাখা হয়েছে পুজোর সময় জলজমা রুখতে। কিন্তু জোয়ার এলে অনেক সময় নিকাশি খালের মুখ আটকে যায় পলিতে। ফলে কিছু এলাকায় ব্যাহত হয় নিকাশি ব্যবস্থা। সমস্যাটা সেখানেই।